দক্ষিণ সুনামগঞ্জ অফিস
ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে অঝোরে কাঁদছেন বাবা আনছার মিয়া ও শয্যাশায়ী মা রানা বেগম। তাঁরা বলছিলেন, আমার ছেলে নাজিমুল ইসলাম মেধাবী ছিল। সে জাউয়া বাজার ডিগ্রী কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। খুনিরা প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার বাড়ীতে এসে আমার সামনে ছেলেকে খুন করে পালিয়েছে। আমরা খুনিদের ফাঁসি ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আমার ছেলেকে আর কোনো দিন ফিরে পাবোন না। হত্যাকারীদের বিচার হলে কিছুটা হলেও শান্তি পাবে ছেলের আত্মা।
বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের বড়মোহা গ্রামের নিহত নাজিমুল ইসলাম জায়গীরদার হত্যাকারীর খুনিদের বিচার চেয়ে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
জানা যায়, গত ২৭ জুন রোববার বিকাল সাড়ে ৫ টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বড়মোহা গ্রামের ঈদগাহের মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়া আনছার মিয়ার ছেলে নাজিমুল ইসলাম জায়গীরদার ও একই গ্রামের মৃত খলিল খানের ছেলে এরশাদ খাঁন ও তার ভাই আমিন খাঁনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বড়মোহা গ্রামের শাহী আলম খাঁন সহ গোষ্ঠীর লোকজন উত্তেজিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নাজিমুল ইসলামের বাড়ীতে এসে আক্রমণ চালায়। এসময় খাঁ গোষ্ঠির লোকজন নাজিমুল ইসলাম জায়গীরদারকে খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আনছার মিয়া বাদী হয়ে গত ২৮ জুন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, মামলার পরপরই একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ২ আসামী সহ ৭ আসামীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রধান আসামীসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। নাজিম হত্যাকারী সকল আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
