ছাত্রলীগ নেত্রী থেকে চাকরি, ৫ আগস্ট থেকে অনুপস্থিত বেরোবি কর্মচারী টুকটুকি
নিউজ ডেস্ক:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ডাকা এক দফার মোকাবেলা করতে চেয়ে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ (এমআইএস) বিভাগের সেমিনার সহকারী আশিকুন্নাহার চৌধুরী টুকটুকি। কিন্তু সরকার পতনের পর থেকে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে বেরোবি ক্যাম্পাসে চাকরি নিতে সক্ষম হন টুকটুকি। চাকরিতে যোগদানের পরও তিনি আ.লীগ এর রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং আ.লীগ সরকারের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত পোস্ট করতেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তুঙ্গে শিক্ষার্থীরা সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করে। এ সময় তিনি এক দফা মোকাবেলা করতে চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন এবং অভিভাবকদের কাছে সন্তানদের রাস্তায় পাঠাতে নিষেধ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকার পতনের পর থেকে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত আশিকুন্নাহার চৌধুরী টুকটুকি। ক্যাম্পাস খুললেও তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখা থেকে জানা যায় তিনি প্রশাসনের কাছে ছুটির জন্য কোনো আবেদন করেননি।
বিশ্বস্ত একাধিক সূত্রে জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পরে থেকে আমাদের সাথে তার দুইদিন দেখা হয়েছে।
সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার ড. মো. জিয়াউল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর থেকে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সেমিনার সহকারীর কোনো ছুটির আবেদন আমার কাছে আসেনি। তার অনুপস্থিতির বিষয়ে জানি না।
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। এরপরে তিনি বিভাগ থেকে চার কর্ম দিবসের নৈমিত্তিক ছুটি নিয়েছেন। আমার দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত ছিলেন কিনা এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
আশিকুন্নাহার চৌধুরী টুকটুকির বলেন, আমি অফিসে যাচ্ছিলাম কিন্তু অসুস্থার কারণে ছুটিতে আছি। এর আগে ডিপার্টমেন্ট প্রধান ছিল না কার কাছে ছুটি নিবো? ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি এই নয় যে কারো বাড়া ভাতে ধান দিছি৷
ফেসবুকে পোস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের বিপক্ষে কিন্তু ছিলাম না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে এক দফা এক দাবির পক্ষে ছিলাম। এক দফা এক দাবি রাজনৈতিক মোকাবেলা ছিল। আর পোস্ট কবে দেওয়া ছিল সেটা দেখবেন। শিক্ষার্থী মারা যাচ্ছে এটা আমি চাই না। শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের উদেশ্য করে বলেছি। এমন নয় যে আমার পোস্ট কেউ প্রভাবিত হয়েছে।
সুত্র:নয়া শতাব্দী