নগরীতে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ৫ম আদালত থেকে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য জোবায়ের মোহাম্মদ আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে মামলার নথি থেকে ২৭ কোটি ৯৭ লাখ ৮৮ হাজার ৭২ টাকার চেক চুরির ঘটনায় এবার মানহানির মামলা করলেন এসএ ওয়েল রিফাইনারী লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহাবুদ্দিন আলম। তারপক্ষে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন কোম্পানীর জেনারেল ম্যানেজার মো. ফরিদ।
সোমবার চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সএ ওয়েল রিফাইনারী লিমিটেড। শুনানি শেষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেছেন আদালত ।
এ মানহানির মামলা বিষয়ে কোম্পানির আইনজীবী সুলতান মো. অহিদ জানান, এসএ ওয়েল রিফাইনারী লিমিটেডের সাথে আইনজীবী আওরঙ্গজেবের কোন সর্ম্পক নেই। তিনি আমাদের কোম্পানীর নিয়োজিত আইনজীবীও নন। তারপরও তিনি মামলার নথি থেকে চেক সরানোর ঘটনায় কোম্পানীর মানহানি হওয়ায় আমরা এ মামলাটি দায়ের করেছি।
আইনজীবী জোবায়ের মোহাম্মদ আওরঙ্গজেবের বারের সনদ নম্বর-২০১২০৪৪২৪৮।
উল্লেখ্য, আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে চট্টগ্রাম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে দায়রা-১৮৩৭/২০১৪ নথি দেখার জন্য নেন অ্যাডভোকেট আওরঙ্গজেব। ওই মামলার আইনজীবী না হয়েও তিনি নথি দেখার অনুরোধ করলে আদালতের অফিস সহায়ক নথিতে রক্ষিত সব কাগজপত্র সঠিক আছে যাচাই করে নথি দেন। নথি দেখার পর, রেকর্ড অফিস সহায়কের কাছে হস্তান্তর করলে, অফিস সহায়ক নথি যাচাই করে দেখেন তাতে রক্ষিত ২৭ কোটি ৯৭ লাখ ৮৮ হাজার ৭২ টাকার চেক নেই। অফিস সহায়ক এবং বেঞ্চ সহকারী আইনজীবীকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে আদালতের বিচারককে অবহিত করেন। বিষয়টি আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদককে জ্ঞাত করে আওরঙ্গজেবের চেম্বারে যান বেঞ্চ সহকারী। পরে রাত ১০টায় নগরের হোটেল আগ্রাবাদ থেকে আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আওরঙ্গজেবের কাছ থেকে উদ্ধার করেন।
পরে এ ঘটনায় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জহির উদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে আইনজীবী সমিতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত।
যদিও আইনজীবী জোবায়ের মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব বলেন, ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। এটা পরে মীমাংসা হয়ে গেছে।
এমকে