৬ মার্চ ২০২৪ বুধবার ১২:০৭:০৮ অপরাহ্ন |
পাথরঘাটা(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ
বরগুনার পাথরঘাটায় একটি ড্রাম চুরির অভিযোগ তুলে সিফাত (২২) নামের এক তরুণকে মাহফিল থেকে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতনের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।সিফাত উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের প্রয়াত সেনা সদস্য (অব.) সুলতান আহমেদের ছেলে।
গত রোববার (৩ মার্চ) পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকায় তিনি নির্যাতনের শিকার হন। পরে সোমবার (৪ মার্চ) মুমূর্ষ অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, সিফাত ব্যথা-যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। সঙ্গে তার মা কহিনুর বেগম ও ভাবী নাজমা রয়েছেন। তারা ঘটনার আকস্মিকতায় আতঙ্কিত। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
তারা জানান, রোববার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সিফাতকে মাহফিল থেকে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে তার অণ্ডকোষে পদাঘাত করে অভিযুক্তরা। পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে গাছ আর স্টিল পাইপ দিয়ে বেদম পেটানো হয় তাকে। এসময় নির্যাতন চালিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় বলে জানান সিফাত। কণ্ঠনালীর ওপর ওঠে পা দিয়ে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ তার।
আহত সিফাত বলেন, ওই রাতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওরা আমাকে টক জাতীয় কিছু খাওয়ায়। আমাকে ওরা মেরেই ফেলতো। আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন।
সিফাত এ ঘটনার জন্য একই গ্রামের সোলেমান গাজী, রহমান গাজী, রহিম মোল্লা, রুবেল, বেল্লাল ও শুভ নামে কয়েকজনকে দায়ী করেন।
কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম নাসির বলেন, এমন বর্বরোচিত একটা ঘটনায় আমি হতবাক হয়েছি। যে ছেলেটিকে মারা হয়েছে সে ছেলেটি চোর না। ও একটা সহজ সরল ছেলে। অবশ্যই বিচার হতে হবে। আগে ছেলেটি সুস্থ হোক।
সিফাতের মা কহিনুর বেগম বলেন, আমার ভাই পুলিশকে জানিয়েছে। আগে ছেলের চিকিৎসা, তারপরে মামলা করতে চাই। আমি আমার ছেলের ওপর নির্যাতনের বিচার চাই।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনা আমরা জেনে হাসপাতালে গিয়ে আহত সিফাতের জবানবন্দি নিয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |