
গত দুই দিনে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে চীন ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ২২৬ টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে মোট ২ হাজার ৬৪৫ টন পেঁয়াজ।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রবিবার চীন থেকে আসা ১৬৮ টন পেঁয়াজ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর সোমবার পাকিস্তান থেকে আসা ৫৮ টন পেঁয়াজ ছাড়পত্র দিয়েছি।
অনেক পেঁয়াজ এখনো খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চীন এবং পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় এক হাজার টন পেঁয়াজ।’
ভারত সরকার নিজের দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। গত শুক্রবার এ খবরের পর থেকেই এই পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে দেশের বাজারে।
কয়েক দিনের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম অন্তত ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। এ সময় কিছু বাজারে কম দামে পাওয়া যায় চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। তবে পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা দরে।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যে পরিমান পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, তা চাহিদার তুলনায় সামান্য। আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে পণ্যটি আমদানি করা গেলে এ সংকট দ্রুত সমাধান হতো। এ ছাড়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পাইকারি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ আসবে। তখন দাম দ্রুত কমে আসবে। মূলত সরবরাহ না থাকায় পণ্যটির দাম বাড়তি।