চাচার টাকা আত্মসাৎ করতেই অটো ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলে ভাতিজা রিয়াজ

চাচার টাকা আত্মসাৎ করতেই অটো ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলে ভাতিজা রিয়াজ

৭ March ২০২৫ Friday ৩:৪৩:২৫ PM

Print this E-mail this


নগর প্রতিনিধি:

চাচার টাকা আত্মসাৎ করতেই অটো ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলে ভাতিজা রিয়াজ

বরিশালের এয়ারপোর্ট থানাধীন মাধবপাশা ইউনিয়নে পাংশা গ্রামের সুদ কারবারি রিয়াজ তার নিজের অসহায় চাচার টাকা আত্মসাৎ করতেই অটো ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী সত্তোরর্ধ পঙ্গু আমির হোসেন হাওলাদার।

আমির হোসেন হাওলাদার বলেন, আমাদের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ৬৯ শতাংশ জমি বিক্রি করা হয়েছে অনেক বছর পূর্বে। সেই জমির ১২ শতক ক্রেতা (বরিশাল সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী সোহেল) এর নামে রেকর্ড হয় নি। তিনি রেকর্ড পাওয়ার জন্য আমার ভাইর ছেলে রিয়াজ কে ৩৭০ হাজার টাকা প্রদান করেন। রিয়াজ ও আমার জামাতা চান মিয়া একদিন আমাকে বয়স্কভাতার কার্ড সংশোধনীর কথা বলে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে স্বাক্ষর নেয়। আর একহাজার টাকা দিয়ে বিদায় দেয়। সকল ওয়ারিশের টাকা রিয়াজ পরিশোধ করলেও আমার প্রাপ্য ১লাখ ৭০ হাজার টাকা দেয় না। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কয়েকবার শালিস বসলেও রিয়াজ আমার টাকা দিতে অস্বীকার করে। এদিকে আমার অন্য ভাইর ছেলেরা আমার টাকা পরিশোধের জন্য রিয়াজকে তাগিদ দিলে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় রিয়াজ। রিয়াজ তার নিজের অটো লুকিয়ে রেখে চাঁদা দাবী ও অটো ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগ আনে ভাইর ছেলে ফায়জুল হোসেন, রাসেল হাওলাদার, ফয়সাল হোসেন, জিহাদ হাওলাদার ও দুলাল খানের স্ত্রী হীরার উপর।

বৃহস্পতিবার বিকালে সরজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, সুদকারবারী রিয়াজ হাওলাদার ও তার স্ত্রীর যন্ত্রনায় ওই বাড়ী তথা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। অসহায় আমির হোসেন হাওলাদারের ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করতেই মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে ও অটো ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছে। তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যাতে অসহায় ওই ব্যক্তি তার প্রাপ্য বুজে পায়।

এদিকে রিয়াজের অটো চালক ও ভুক্তভোগীর জামাতা চান মিয়া বলেন, আমার অটোটি কাশিপুর এলাকায় রাত ১১ টার দিকে ৪-৫ জন মাক্স পরা যাত্রী ছিনিয়ে নেয়।তাদের কাউকেই আমি চিনতে পারিনি। আর আমাকে রিয়াজ চোখ গরম দিয়ে (চাপ প্রয়োগ করে) শশুরের প্রাপ্য টাকার ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বিকার পাইয়েছে। মূলত আমি ১ টাকাও নেইনায়।

এলাকায় শালিসে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি বলেন, রিয়াজ ১৫ ফেব্রুয়ারী আমির হোসেন হাওলাদারের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বল্লেও সে টাকা দেয়নি। এখন সে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রিয়াজের বিচার দাবী করছি।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির সিকদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts