Advertisement
ট্রেনযাত্রী, বাসযাত্রী ও পথচারীদের চাকু-ছোরার ভয় দেখিয়ে জিনিসপত্র ছিনতাই করে তারা। তাই নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ৭টি টিপ ছোরা।
ছিনতাইকারীরা হলো- মো. শরীফ হোসেন প্রকাশ শরীফ (২১), মো. বাদশা (২২), মো. হানিফ(১৯), মো. ইমরান হোসেন লাবু (৪২), মো. ওমর ফারুক ইফতি (১৯), জয় বৈষ্ণব (১৯), মো. সালাউদ্দিন (১৯), শাকিব খান (২০), মো. জুয়েল(১৯) ও রনি দাশ (২১) ।
আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন।
পুলিশ জানায়, ছিনতাইয়ে শিকার ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলা তদন্তে নেমে কোতোয়ালী থানার বিশেষ টিম। বিভিন্ন ছিনতাই ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে ২৭ ডিসেম্বর ভোরে শরীফ হোসেনকে বয়লার এভিনিউ হতে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার থেকে ডাকাতির লুন্ঠিত ১টি লাল রংয়ের Oppo A1k মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আসামীরা সকলেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা দীর্ঘদিন ধরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতি করে বলে স্বীকার করেন বলে জানান পুলিশ।
এদিকে ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন জানান, নগরীতে রাত ও ভোরে স্টেশনের ট্রেনযাত্রী, বাসযাত্রী ও পথচারীদের চাকু-ছোরার ভয় দেখিয়ে জিনিসপত্র ছিনতাই ও ডাকাতি করার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য রোববার রাতে পলোগ্রাউন্ড মাঠের দক্ষিণ পাশে অন্ধকার খালি জায়গায় একত্রিত হয়ে থাকে ছিনতাইকারী। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১০ ছিনতাইকারীকে। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ৭টি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় এসআই মো. মোমিনুল হাসান বিভিন্ন ধারায় দুইটি মামলা করেন। গ্রেফতার ছিনতাইকারীদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি নেজাম।
এমকে