হামলার শিকার জসিমউদ্দীন বলেন, ‘আজ বেলা চারটার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের কাচ্চি ডাইনে খাবারের উদ্দেশে ক্যাম্পাস থেকে আমরা তিনজন যাই। কাচ্চি ডাইনের সামনে পৌঁছালে ১৫-২০ জন যুবক আমাদের ঘিরে ফেলে এবং বলে তোরা চাঁদাবাজি করিস, তোদের চাঁদাবাজি ছোটাচ্ছি। তোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে বের হবি না, বের হলে তোদের খবর আছে। এরপর এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে আমরা দুজন আহত হই। আমাদের সঙ্গে থাকা অপর শিক্ষার্থী আমাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।’
জসিমউদ্দীন আরও বলেন, তাঁর বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে কয়েকজন বহিরাগত খোঁজখবর নিতে থাকে এবং তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাকে বলে, যারা আমাকে খুঁজতে এসেছিল তারা জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তাই আমি গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লাকে নিয়ে আমার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই। সেখানে লিখেছিলাম, “জসিম কে তোদের বাপ নিউটন মোল্লাকে জিজ্ঞেস কর।” ওই ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে হয়তো নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের লোকজন হামলা ঘটাতে পারে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রশাসন হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।’