চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। বিভিন্ন ভুক্তভোগীরা জানান,থানায় মামলা বা অভিযোগ করলে দেখা যায়, সেখানে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে তা পড়ে থাকে। যার কারনে দিন-দিন চোরের উপদ্রব ও অপরাধ বেড়েই চলছে। এ বিষয়ে চুরির শিকার ভুক্তভোগীরা এহেন চুরির হাত থেকে রক্ষা পেতে চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
চুরির ঘটনা যে ইদানিং ঘটছে,তার প্রমান স্বরুপ দেখা দেখা গেছে, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল এর বিপরীত পার্শ্বে চাঁদপুর কালেক্টর মসজিদ সংলগ্ন ফেমাস ডায়গনস্টিক সেন্টারে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটির সাড়ে ৪লাখ টাকার মামামাল লুটে নিয়েছে চোরের দল।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ডায়াগনস্টিকের মালিক কামরুজ্জামান জানান, আমি ও আমার স্টাফরা মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৫ টার সময় ডায়গনস্টিক সেন্টারে তালা লাগিয়ে যে যার মতো বাসায় চলে যাই। এরপরদিন বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আমার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্টাফ মঞ্জু রাণী দাস ডায়াগনস্টিক খোলে দেখেন ভিতরে সব মালামাল এলোমেলো এবং অনেক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নাই। বিষয়টি আমাকে অবগত করার পর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখি চোর চক্র আমার প্রতিষ্ঠানের পিছনের বারান্দার গ্রিল এর তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে চুরি করেছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে চোর চক্র বাইয়োকেমিস্ট্রি, ইসিজি, রোটারেটর, মাইক্রোপিফেট, রি এজেন্ট মেশিন, কম্পিউটার, এলইডি স্মার্ট টিভি, স্টান্ড ফ্যান, বাটন ফোন চুরি করে যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ সাড়ে ৮৪ হাজার টাকা এবং নগদ সাড়ে ৩৪ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে চাঁদপুর মডেল থানায় ডায়াগনস্টিকের মালিক কামরুজ্জামান বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: বাহার মিয়ার নির্দেশে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো: আওলাদ হোসেনকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেট/ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫