চাঁদপুর পুরানবাজারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা অভিযোগ

চাঁদপুর পুরানবাজারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা অভিযোগ

চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের গোডাউন দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩ জুলাই বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার পুরানবাজার ডাল পট্টি এলাকায় চাঁদপুর খাদ্য ভান্ডার নামক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে এই ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুরানবাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে পুরানবাজার ফাঁড়ির পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসার পর্যায়ে আনা হয়।

ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী চাঁদপুর খাদ্য ভান্ডারের মালিক ও শহরের গুয়াখোলা এলাকার বাসিন্দা মৃত ডা. মনরঞ্জন রায়ের পুত্র প্রীতম কুমার রায় বলেন, পুরানবাজার হরিসভা এলাকার প্রয়াত মনিন্দ্র সাহা ১৯৮৫ সালে তার বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৫৫ শতক ৬৬ পয়েন্ট সম্পত্তি অগ্রণী ব্যাংক মর্গেজ দিয়ে ঋণ নেন। এরমধ্যে বসত বাড়ির সম্পত্তি ৫৪ শতক ও বাজারের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ১শতক ৬৬ পয়েন্ট। ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ১৯৯০ সালে মরগেজকৃত সম্পত্তি নিলাম ঘোষণা করে। নিলামের মাধ্যমে আমি এই সম্পত্তি ক্রয় করেছি। এতে শ্রদ্ধেয় সুভাষ চন্দ্র রায় সাহেব আমাকে সহযোগিতা করেছেন। ২০০০ সালে মহামান্য আদালতের মাধ্যমে জর্জ সাহেবের স্বাক্ষরিত দলিলে উক্ত সম্পত্তি আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

প্রীতম কুমার রায় আরো বলেন, এদিকে ভুলক্রমে বিএস খতিয়ানের রেকর্ডে আমার কিছু পয়েন্ট সম্পত্তি কম উঠে। যা সংশোধনেরর বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি, এবং সেটি নিষ্পত্তির পথে রয়েছে। এদিকে বিএস ক্ষতিয়ানের এই ভুলকে কেন্দ্র করে নারু গোপাল সাহার পরিবার নানাভাবে আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের গোডাউন দখলের চেষ্টা করছে। আজকে হঠাৎ করেই নারু গোপাল সাহর ভাতিজা মিহির সাহা (জয় সাহা) বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে তালা ভেঙে গোডাউনটি দখলের চেষ্টা করে। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক চাঁদপুর চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় এবং পুরানবাজার ফাঁড়ির পুলিশকে অবহিদ করি। খবর পেয়ে ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দখলকারীদের কাছ আমার গোডাউনটি উদ্ধার করে। পুলিশ আসার আগমুহূর্ত দখলকারীরা আমার প্রতিষ্ঠানের লুটপাট এবং আমাকে গুনদম করার হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের কাছে দাবি করছি।

এদিকে এই ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত মিহির সাহা (জয় সাহা) বলেন, আমার জ্যাঠা নারু গোপাল সাহা ৩৫ বছর আগে প্রয়াত মনিন্দ্র সাহার কাছ থেকে গোডাউনের এই সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। প্রীতম কুমার রায়ের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বা সম্পত্তি নিয়ে আমাদের কোন দাবি-দাওয়া নেই। তার প্রতিষ্ঠানের পেছনে আমাদের ৭৫ পয়েন্ট জমির একটি গোডাউন রয়েছে। যার বিএস খতিয়ান আমাদের নামে এবং আমরাই সরকারি খাজনা দিয়ে আসছি।

মিহির সাহা বলেন, গত ২৪ জুন প্রীতম কুমার রায় লোকজন নিয়ে রাতের আঁধারে আমাদের গোডাউনটি দখল করে। তারা গোডাউনে থাকা আমাদের প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আজকে বাজারের মুরুব্বীদের সাথে নিয়ে দখলকৃত গোডাউনটি উদ্ধার করতে গিয়েছি। তিনিও এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে সুবিচার দাবী করেন।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ৩ জুলাই ২০২৪

Explore More Districts