চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের ভিতরে থাকা বেশ কয়েকটি সরকারি গাছ কেটে নিলেন উক্ত অফিসের প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান। অবৈধ ভাবে এমন গাছ কেটে নেয়ার সময় স্থানীয় এলকার লোকজন বাঁধা প্রধান করলে একসময় পালিয়ে যায় গাছ কাটার শ্রমিকরা।
এছাড়াও ওই কার্যালয়ের প্রকাশ্যে নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে ৮ টি গাছ বিক্রি করার কথা থাকলেও সেখানেও অনিয়ম করে সর্বমোট ১২ টি গাছ কাটা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
গত ২২ মার্চ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নিলামে বিক্রি করা মেহঘনী, সাম্বুল সহ ৮ টি গাছের জায়গায় তারা সর্বমোট ১১টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নিলাম বিজ্ঞপ্তির সেই ঘোষণাপত্রও কোন পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়নি। নামে মাত্র প্রকাশে নিলাম বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করে অফিসের ভেতরে থাকা বড় বড় ৮টি গাছ বিক্রি করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। আর নিলামে বিক্রিকৃত সেই গাছ কেটে নেয়ার ফাঁকেই অবৈধ ভাবে বাড়তি আরো বড় দুটি গাছ কাটেন অফিসের প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান। ওইদিন তিনি তার গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জ থেকে গাছ কাটার লোক এনে একাধিক গাছ কর্তন করেন।
জানাযায়, গত ২০/১২/২৩ তারিখে সরকারি ভাবে নিলামের মাধ্যমে হাজীগঞ্জ উপজেলার মোঃ রাজ্জাকের কাছে ৪১ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভিতরের ৮ টি গাছ বিক্রি করা হয় । এরমধ্যে ছিলো মেহগনি ৭ টি চামুল ১টি। সেই মোতাবেক ঠিকাদারের লোকজন ২২ মার্চ শুক্রবার গাছ কাটতে আসেন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী বেশ কয়েকটি সরকারি গাছ কেটে ফেলে তার গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে এলাকার সচেতন লোকজন বাধা দিলে তারা বিষয়টিকে ধামা চাপা দিতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।
এবিষয়ে সেখানে থাকা একাধিক শ্রমিক বলেন, আমরাতো কিছুই জানিনা। আমাদেরকে অফিসের মিজান ভাই গাছ কাটতে বলেছেন। উনি আমাদেরকে হাজীগঞ্জ থেকে নিয়ে আসছেন। সেজন্য আমরা গাছ কেটেছি।
গাছ কাটার বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, এগুলো তো তেমন কোন দামি গাছ নয়। এই গাছ গুলো দিয়ে হয়তো লাকরী হবে। তাই স্যারের নির্দেশে আমরাই কেটে ফেলছি।
এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী গাছ কাটার নির্দেশনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া গাছের বাইরে যদি কোন গাছ কাটা হয়ে থাকে। সে বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবোনা। তবে ৮ টির বাইরে যদি কোন বাড়তি গাছ কেউ কেটে থাকেন তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। তবে তিনি গাছ কাটার কোন নির্দেশ দেননি বলে জানান।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি,২৪ মার্চ ২০২৪