আবদুল গনি, ৬ অক্টোবর ২০২৫
সারাদেশব্যাপি নদ-নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে মা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর নৌ-সীমানার এলাকায়ও নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ২২ দিনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ৪ অক্টোবর হতে ৬ অক্টোবর ৫ টা পর্যন্ত দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর নৌ-সীমানায় টাক্সফোর্স কর্তৃক ৪৪টি অভিযান, মোবাইল কোর্ট ৭টি পরিচালনা ও ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে । আজ ৬ অক্টোবর রোবাবার সন্ধ্যায় অভিযানের তথ্য প্রতিবেদন আকারে জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও ৩৫টি মাছ ঘাট, ১৯৩টি মাছের আড়ৎ ,৪টি অবতরণ কেন্দ্র ও ৯৯ স্থানীয় বাজার জেলা টাস্কপোর্স কর্তৃক পরিদর্শন করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক প্রেরিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে-৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলায় টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে এবং এ অভিযান চলমান থাকবে বলে চাঁদপুর জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের বাবুব বাজারের গণসচেতনাবৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সভায় জেলেদের উদ্দেশ্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ‘‘ ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বাহিনী ২৪ ঘণ্টাই নদীতে টহলে থাকবে। আইন ভঙ্গকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। মা ইলিশ রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন করবো। সকল বাহিনী প্রস্তÍুুত রয়েছে, এবং নিরবচ্ছিন্ন অভিযান চলবে। আইন অমান্য করলে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা হলে ভবিষ্যতে মাছের উৎপাদন মারাত্মক ভাবে ক্ষতি হয়। মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ২২ দিন ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ বেচাকেনা ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আজ যদি আমরা মা ইলিশ রক্ষা করি, আগামিতে নদীতে আরো বেশি মাছ পাওয়া যাবে এবং আপনারাই উপকৃত হবেন। সরকার ও প্রশাসন এ সময়ে আপনাদের পাশে থাকবে। আমরা সকলে প্রতিজ্ঞা করি, নিষেধাজ্ঞার সময় যেন মা ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকি।’’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ জানান,‘ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অভয়াশ্রমে মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদেরকে সচেতন করার সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।এসব ইলিশ ডিম ছাড়লে এবং বড় হলে তারাই ধরতে পারবে। তারপরও কেউ প্রচলিত আইন অমান্য করে মা ইলিশ ধরলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযানে জেলা প্রশাসন,পুলিশ বিভাগ ও কোস্টগার্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ এবং সকল মৎস্য কর্মকর্তাগণ সার্বিক সহযোগিতা করেছে।’
মেঘনা নদীতে এ সময়ের নিষেধাজ্ঞার সময়কালে মাছ ধরা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। অভিযানের সময় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা, কারাদন্ড ও জাল-পোড়ানোর মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত-জেলার ৪৫ হাজার ৬শ ১৫ নিবন্ধিত জেলে পদ্মা-মেঘনা নদীর প্রায় ৭০ কি.মি. এলাকা জুড়ে জেলে রয়েছে। ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে।
৬ অক্টোবর ২০২৫
এ জি