আবদুল গনি
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ২২ দিনের অভিযানে চাঁদপুর নৌ-সীমানায় টাক্সফোর্স কর্তৃক ২০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং মামলা হয়েছে ৩টি। আজ ৫ অক্টোবর রোবাবার সন্ধ্যায় অভিযানের তথ্য প্রতিবেদন আকারে জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও ১ শ ২০টি মাছের আড়ৎ, ৩ টি অবতরণ কেন্দ্র ও ৪৬ স্থানীয় বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক প্রেরিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে-৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলায় টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে এবং চলমান থাকবে বলে চাঁদপুর জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ জানান,‘ চাঁদপুর জেলার সব নদ-নদীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ও থাকবে। জেলেদেরকে সচেতন করার সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইলিশ ডিম ছাড়লে এবং বড় হলে তারাই ধরতে পারবে। তারপরও কেউ প্রচলিত আইন অমান্য করে মা ইলিশ ধরলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযানে জেলা প্রশাসন,পুলিশ বিভাগ ও কোস্টগার্ড, উপজেলা প্রশাসন- চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ এবং সকল মৎস্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের সার্বিক সহযোগিতা রেয়েছে ।’
জেলার ৪৫ হাজার ৬শ ১৫ নিবন্ধিত জেলে পদ্মা-মেঘনা নদীর প্রায় ৭০ কি.মি.এলাকা জুড়ে জেলে রয়েছে। ইলিশ ধরা থেকে বিরত জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে।
৫ অক্টোবর ২০২৫
এ জি