চাঁদপুরে দুই সন্তানের জনককে কুপিয়ে হত্যা, অপর ভাইকে ঢাকায় প্রেরণ

চাঁদপুরে দুই সন্তানের জনককে কুপিয়ে হত্যা, অপর ভাইকে ঢাকায় প্রেরণ

চাঁদপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ইউসুফ পাটওয়ারী (৪০) নামের দুই সন্তানের জনককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় অপর বড় ইব্রাহিম পাটোয়ারী (৫৫) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪ নং শাহমামুদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারডুগি মিয়ারবাজার পাটোয়ারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউসুফ পাটওয়ারী ওই বাড়ির মৃত কলিমুল্লাহ পাটোয়ারীর ছেলে এবং সে চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের মোবাইল হাউজের স্বত্বাধিকারী। তার দু,জন ছেলে সন্তান রয়েছে।

নিহতের বড় বোন রাজিয়া, নাছিমা ও ছোট বোন আমেনা জানান, তাদের খালতো ভাই মাইনুদ্দিন পাটোয়ারীর গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে নিহত ইউসুফ পাটোয়ারী তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে মোবাইলের দোকানে আসার পথে,খালাতো ভাই মাইনুদ্দিন, তারছেলে রমজান, রবিউল, রহিম ও মাইনুদ্দিনের স্ত্রী খাদিজা বেগম মিলে পথিমধ্যে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথা, ঘারে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে কোপ দিলে সে গুরুতর ভাবে আহত হয়ে পড়ে। তাকে বাঁচাতে বড় ইব্রাহিম পাটওয়ারী এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তার ওপরও অতর্কিত হামলা চালায়।

স্বজনরা তাদের দুজনকে আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আমিনুল ইসলাম সুমন ইউসুফকে মৃত ঘোষণা করেন এবং নিহতের বড় ভাই ইব্রাহিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আমিনুল ইসলাম সুমন জানান, আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার মাথা, কপাল, ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ডান পাশের ঘাড়ে যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সেটিতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনেই তার মৃত্যুর কারন বলে তিনি ধারণা করছেন। পাশা পাশি আহত ইব্রাহিম মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ছুরি-ঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। যার কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছি।

এদিকে ঘটনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত মাইনুদ্দীন, তার স্ত্রী হাজেরা বেগম ও ছেলে রমজানকে আটক করেন চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।

ঘটনার পর চাঁদপুর মডেল থানার এস আই নাজমুল হোসেন সর্ঙ্গীয়ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরুতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে যান।

চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাহার মিয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তিনজনকে থানায় নিয়ে এসেছি। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Explore More Districts