চাঁদপুরে এক বছরে ৩৯৭ টি অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

চাঁদপুরে এক বছরে ৩৯৭ টি অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

চাঁদপুর জেলায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গত এক বছরে ৩ শ ৯৭টি ছোট-বড় ও ভয়ানক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আগুনে উদ্ধারের পরিমাণ হচ্ছে ৮ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা । ২০২৪ সালে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ১শ ১৫টি দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে আহত হয়েছে ২১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫১ জন।

এছাড়াও গত চার মাসে চাঁদপুর উপজেলায় ৩৫টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এবং আগুনে উদ্ধারের পরিমাণ ধন সম্পদ হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার । ১৩ টি দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতের সংখ্যা হলো ১০ জন। ২০২৪ সালে সব উপজেলার পরিসংখ্যান মতে- জানুয়ারি মাসে ৩৭ টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪০ টি, মার্চ মাসে ৪৬ টি, এপ্রিল মাসে ৩১ টি, মে মাসে ৪৪ টি, জুন মাসে ২৪ টি, জুলাই মাসে ২৬ টি, আগস্ট মাসে ৪৩ টি,সেপ্টেম্বরে ৩৮ টি, অক্টোবরে ২২টি নভেম্বরে ৩০ টি এবং ডিসেম্বর ঘটে ১৬ অগ্নিকান্ড ।

কেবলমাত্র হাজীগঞ্জে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল এ ৪ মাসে ২০টি অগ্নিকান্ড ঘটে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং উদ্ধার করা হয়েছে ৪১ লাখ টাকার মালামাল ও বিবিধ সম্পদ।

২৯ এপ্রিল চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স উত্তর স্টেশন এ তথ্য জানিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, জানুয়ারিতে ৯ টি .ফেব্রুয়ারিতে ২টি মার্চ মাসে ৪ টি এবং এপ্রিল মাসে ৫ টি অগ্নিকান্ড ঘটেছে ।
প্রাপ্ত তথ্যে মতে, হাজীগঞ্জসহ চাঁদপুর জেলার ১০টি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্তৃক এ অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করে।

হাজীগঞ্জ জেলার অন্যতম ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নত যোগাযোগের উপজেলা। হাজীগঞ্জে জানুয়ারি,ফেব্রুয়ারি,মার্চ ও এপ্রিল এ ৪ মাসে ২০টি অগ্নিকান্ড ঘটে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৬ লাখ টাকা এবং হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্তৃক উদ্ধার করা হয়েছে ৪১ লাখ টাকার নানা সম্পদ।

এ ছাড়াও ঐ চার মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ৪টি। এতে নিহত হয়েছে ২ জন এবং আহত হয় বেশ কয়েক জন।ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, চাঁদপুর উত্তরের এর একজন কর্মকর্তা বলেন,‘ ফায়ার স্টেশনে অগ্নিকান্ডের সংবাদ পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই আমাদের স্টেশন থেকে বের হয়ে ব্রিগেডসহ গাড়িটি গন্তব্যের দিকে ছুটতে থাকে। সড়কের প্রতিবন্ধকতা এড়ানোর জন্যে সাইরেন বাজানো হয়্। এ ক্ষেত্রে গাড়িতে বসেই আমরা ঘটনাস্থলের বিষয়টি নিশ্চিত হই। ’এর পর ঘটনাস্থলে পেঁৗঁছে অবস্থা বুঝে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক ধারণা ও আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করে তা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথেও কথা বলে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত নির্ণয় ও পরিমাপ ঠিক করা হয়। তিনি আরও বলেন,‘বহুতল ভবনগুলোর বিল্ডিং কোড আমাদের দেখার বিষয় নয় ; আমরা দেখি ভবনে অগ্নিনির্বাপক ছাড়পত্র আছে কি না। চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জের ভেতর আমাদের তালিকা মতে ৭ তলা ভীতের অধিক ১৪টি বহুতল ভবন রয়েছে। ’

জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে জেলার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনগুলো নিয়মিত মহড়া, গণসংযোগ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।’ চাঁদপুর সদর,হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ,ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ,কচুয়া ও শাহারাস্তিতে ও ফরিদগঞ্জে ১০টি স্টেশন রয়েছে ।

আবদুল গনি
চাঁদপুর টাইমস
২৯ এপ্রিল ২০২৫

Explore More Districts