প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের এক দিন পার হতে না হতেই বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীদের অভিযোগ, রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের লোকজন বাড়িটি ভেঙে ফেলেছেন। আমরা মনে করি, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, সেটাকেই সুযোগ হিসেবে নিয়েছে হোমিওপ্যাথিক কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি অবস্থিত। এ বাড়িতেই শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যের একটি সময় কাটিয়েছেন ঋত্বিক ঘটক। ঋত্বিকের পরিবার কলকাতায় চলে যাওয়ার পরে ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সরকার এ বাড়ির ৩৪ শতাংশ জমি রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে ইজারা দিয়েছিল। ঋত্বিকের ভিটার উত্তর অংশে গড়ে তোলা হয় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবন। আর এই ভবনের দক্ষিণ অংশে ছিল বাড়িটি।
ঋত্বিক ঘটকের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভাঙা বাড়ির দেয়ালে তাঁর চলচ্চিত্রের পোস্টার রংতুলি দিয়ে এঁকে অনুষ্ঠান করেন চলচ্চিত্রকর্মীরা। কিন্তু হোমিও কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটায় তাঁর চলচ্চিত্র নিয়ে দেয়ালচিত্র মুছে ফেলার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের কারণ কী জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘এটা আমার সভাপতি বলতে পারেন, তিনি কলেজটা কীভাবে রাখবেন।’