চরফ্যাশনে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই মুজিব কিল্লায় ফাটল

চরফ্যাশনে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই মুজিব কিল্লায় ফাটল

২০ November ২০২৪ Wednesday ৩:৪৯:১১ PM

Print this E-mail this


চরফ্যাশন ((ভোলা) প্রতিনিধি:

চরফ্যাশনে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই মুজিব কিল্লায় ফাটল

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঢালচর ইউনিয়নের চর নাজিম উদ্দিনে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই মুজিব কিল্লার ভবনে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে নির্মাণ কাজ নিয়ে জনমনে নেতিবাচক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চর নাজিম উদ্দিনে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মুজিব কিল্লার স্থাপন অনুমোদন হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অধিনে ২০২১-২২ অর্থ বছরে এটির টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়।

ওই সময় টেন্ডারের মাধ্যমে মেসার্স উপকূল কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ পেলেও ঢালচর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কালাম কাজটি কিনে নেন।

পূর্ব ঢালচরের চরনাজিম উদ্দিনের স্থানীয় বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিন ও মো. ইব্রাহীম জানান, ঠিকাদার আবুল কালাম কিল্লাটি নির্মাণের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। যার কারণে এটির বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।

মূল ভবনের কাজ প্রায় শেষ হলেও এখনও বাকি রয়েছে চারপাশের দেয়ালসহ কয়েকটি কাজ। এছাড়াও ফ্লোর ঢালাইতে রড, ইট না দিয়ে শেষ করেছেন ঢালাইয়ের কাজ।

১৪ ফুট সট পিলারের মাঝখানে টাইবিম দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি সেটিও। এমনকি সেপটিক ট্যাংক ১০ ইঞ্চি গাঁথুনী করার কথা থাকলেও সেখানে নিম্নমানের লোকাল ইট দিয়ে ৫ ইঞ্চি গাঁথুনি করা হয়েছে।

তারা জানান, এটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে ঝড়ের সময় কেউ যদি আশ্রয় নেন তাহলে তারা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। এ জন্য তারা ঠিকাদারের দুর্নীতি তদন্ত করে নতুন করে শক্ত কিল্লার নির্মাণের জন্য বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

তবে অভিযুক্ত সাব ঠিকাদার ও ঢালচর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কালাম জানান, ফাটলের বিষয়টি সাধারণ বিষয়। মাটির কারণে ফাটল ধরেছে। ফাটলের স্থানে বালি ও সিমেন্ট দিয়ে ঠিক করে দ্রুত ভবন হস্তান্তরের পরিকল্পনা কথা জানান তিনি।

ভোলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. হাতেম আলী জানান, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ও প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

এছাড়াও তিনি মুজিব কিল্লাটি পরিদর্শনে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি জানান, ভোলায় ৩৭টি মুজিব কিল্লা স্থাপনের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ১৪টির, বর্তমানে চারটির কাজ চলমান রয়েছে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts