চরফ্যাশনে তরমুজের বাম্পার ফলনে চাষীদের মুখে হাসি

চরফ্যাশনে তরমুজের বাম্পার ফলনে চাষীদের মুখে হাসি

৩০ মার্চ ২০২৪ শনিবার ৫:২৮:০৮ অপরাহ্ন

Print this E-mail this


চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ

চরফ্যাশনে তরমুজের বাম্পার ফলনে চাষীদের মুখে হাসি

মিঠা পানি আর পলিমাটির অঞ্চল চরফ্যাশন উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে হাজার,হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয় বাঙ্গি ও রসালো ফল তরমুজ। এবছর এ উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে তরমুজ ও বাঙ্গির।

আর এই তরমুজ সরক ও নৌ-পথে রপ্তানী করা হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বাম্পার ফলনে চাষীরাও রয়েছেন খোশ মেজাজে। ক্ষেত থেকেও পাকা তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। আগাম তরমুজে বেশি মুনাফার আশায় পাইকাররাও আসতে শুরু করেছেন চাষীদের দোর গোড়ায়।

আবার অনেক চাষী পুরো ক্ষেত অধিক মুনাফায় আগাম বিক্রি করে দিচ্ছেন। চাষীদের মূলধনসহ অধিক মুনাফা উঠে আসবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে উপজেলার একাধীক চাষী বলেন, গতবছরে তরমুজ চাষীরা মূলধন হারিয়ে ঋণগ্রস্থ হলেও এবার তা পুশিয়ে নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন একাধিক তরমুজ চাষী। এবছর ঋণ নিয়ে তরমুজ ও বাঙ্গিও আবাদ করলেও প্রথম ক্ষেত থেকেই তরমুজের পাইকাররা নগদ টাকায় ক্রয় করছেন।তবে দ্বিতিয় কর্তনে মূলধনসহ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন এসব তরমুজ চাষীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার মুজিবনগর,নজরুলনগর,কলমী,নীলকমল, নুরাবাদ,আহমদপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রায় ১১ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গির আবাদ করা হয়েছে। এসব এলাকার বিস্তীর্ণ এ তরমুজের ক্ষেতে চাষীরাও রয়েছেন কর্মব্যস্তায়।

প্রথম বিভিন্ন হাটবাজারসহ ফলের দোকান সর্বশের্ব সরকারি সহযোগিতা পাওয়া চরফ্যাশনের আহম্মদপুর গ্রামের তরমুজ চাষী আলাউদ্দিন বলেন, আমি এবার ২ কাটি জমিতে মোট বিক্রি আসছে ৮লাখ টাকা।

আগাম তরমুজ একটু চড়া মূল্যে ই বিক্রি হচ্ছে হাট বাজারগুলোতে। ফলে সাধারণ ক্রেতারাও সাধ্য মতে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। বাজার অনুযায়ী ১৫০ থেকে শুরুকরে ৩৫০ টাকা খুচরা মূল্যে ক্রয় করছেন পিপাসা মেটানো রসালো এ তরমুজ।

এছাড়াও প্রতি পিচ বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে। তরমুজ বাজারে আসায় দাম একটু চড়া। মাহে রমজান উপলক্ষে এসব তরমুজের দাম ঠিক রয়েছে বলে ক্রেতা কামরুল সিকদার জানিয়েছেন।

আড়তদার জামাল উদ্দিন বলেন, গতবছরলোকসান হলেও এবছর অধিক মুনাফা হবে তরমুজে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুকুজ্জামান বলেন, চরফ্যাশনে ১১ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গি আবাদ হয়েছে। তরমুজ চাষীরা যেন বিপাকে না পড়ে এজন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারী কামরুজ্জামান শিপনসহ অন্যান্যরা সাবক্ষনিক মাঠ পরিদর্শন ও চাষীদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts