স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে তারা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে, শনিবার ইন্টার্ন চিকিৎসক কাউন্সিল এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ৯০তম বার হাইকোর্টের রায় পেছানো হয়েছে, যা স্বাস্থ্যখাতকে নাট্যমঞ্চে পরিণত করেছে। এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না এবং বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চিকিৎসা নিষিদ্ধ করতে হবে। ২০১০ সালের সরকারি ম্যাটস থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) ড্রাগ তালিকা আপডেট করতে হবে। রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওটিসি লিস্টের বাইরে ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে।
স্বাস্থ্যখাতে ৫০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে শূন্য পদ পূরণ করতে হবে এবং অঞ্চলভিত্তিক স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে নিয়মিত চিকিৎসক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবছর ৮-১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতের বিসিএস পরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিতে হবে।
এ ছাড়া, সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে পাস করা শিক্ষার্থীদের শুধু ‘মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদবী দিয়ে সীমিত দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এই কর্মসূচির ফলে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।