চবির শাটল ট্রেন : সময়নাশের ফাঁদে আটকে হাজারো শিক্ষার্থী

চবির শাটল ট্রেন : সময়নাশের ফাঁদে আটকে হাজারো শিক্ষার্থী

সোয়াদ সাদমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেন শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই যাতায়াতের একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। কিন্তু সেই শাটলই এখন পরিণত হয়েছে এক ‘জঘন্য টাইম কিলিং মেশিন’-এ। প্রতিনিয়ত শিডিউল বিপর্যয়, বগি সংকট এবং বাহ্যিক দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্যে নষ্ট হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থীর মূল্যবান কর্মঘণ্টা।

Thousands of students stuck.Thousands of students stuck.

সম্প্রতি ৯:০৫ মিনিটে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে আসা একটি শাটল ষোলশহর স্টেশনে পৌঁছাতে সময় নিয়েছে ১০:২৫ মিনিট পর্যন্ত। অর্থাৎ ৩০ মিনিটের যাত্রাপথে লেগেছে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। একসময় যেখানে এই রুটে সময় লাগত সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট, সেখানে বর্তমানে ঘণ্টার বেশি সময় লাগার ঘটনা যেন নিয়মিত হয়ে উঠেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা, এমনকি টিউশনের সময় নিয়েও পড়ছেন মহাবিপাকে।

চবির শাটল ট্রেন নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ বাহনটির শিডিউল বিপর্যয়, বগি সংকট, টোকাইদের উৎপাত, ছিনতাই, এমনকি পাথর নিক্ষেপের ঘটনাও একাধিকবার ঘটেছে। তবে এসব সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান আজও হয়নি।

শুধু সকাল নয়, বিকেল ৩:৩৫ মিনিটের শাটল ট্রেনটিও প্রায়শই নির্ধারিত সময়ে চলে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এমন দেরি শুধু যাত্রীর সময়ই নষ্ট করে না, শিক্ষাজীবনেও ফেলছে নেতিবাচক প্রভাব।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ এনামুল হক বলেন, “শাটলের ভিতর যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তা এসি রুমে বসে কেউ কল্পনাও করতে পারে না। আমাদের এই দুর্ভোগের যেন কোনো শেষ নেই।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনেক শিক্ষার্থী আল ইয়ামিম বলেন, “শিক্ষার্থীদের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় অথচ এখানে আমাদেরই কোন মূল্য নেই। শাটলে নিরাপত্তা তো দূরের কথা নিয়মানুবর্তিতার সিটে ফোটাও নেই। আদিম যুগের সব যন্ত্রাংশ দিয়ে চলছে আমাদের প্রধান বাহন শাটল ট্রেন।”

প্রেমিকাকে খুশি রাখার কার্যকরী উপায়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা রেল কর্তৃপক্ষ কীভাবে এবং কখন এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবে—এই প্রশ্ন এখন চবির প্রতিটি শিক্ষার্থীর মুখে মুখে।

Explore More Districts