চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার দিকে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঘটনার সূত্রপাত হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে আমানত ও শাহজালাল হলের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
মারামারিতে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারীরা।
আহতরা হলেন সভাপতি গ্রুপের মেহেদী হাসান, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ ২০১৯-২০ সেশন। সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মো. আলী রিমন, তৌফিকুল ফেরদৌস বাঁধন, তসলিম হাসান আশিক ও মো. রুহুল আমিন। চারজনই গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
আহতদের চবি মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০২০ সালের মার্চে ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠানে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে দুই গ্রুপের বিবদমান কয়েকজন কর্মীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক তৈরি হয়। দেখা হলে কটূ বাক্যও ছোড়ে একে-অপরকে। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার বিকালে সভাপতির গ্রুপের কর্মী মেহেদী হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে পেয়ে সাধারণ সম্পাদকের কয়েকজন কর্মী তাকে মারধর করে।
পরে সভাপতির কর্মীরা আমানত হলে থাকা সাধারণ সম্পাদকের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। তারপর প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল আজাদীকে বলেন, “জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমাদের দুইজন আহত হয়েছে। বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।”
সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুও একই কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া আজাদীকে বলেন, “দুই গ্রুপের ছেলেদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা সেখানে গিয়ে তাদের সাবধান করেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। আহতদের মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”