চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে ৩৭১ টন পেঁয়াজ

চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে ৩৭১ টন পেঁয়াজ

পাইকারীতে আরো কমলো পেঁয়াজের বাজার। গত একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ টাকা। তবে গতকালও আড়তগুলোতে তেমন পেঁয়াজের দেখা মেলেনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের সংকট থাকলেও চাহিদা না থাকার কারণে দামও নিম্নমুখী। এছাড়া খাতুনগঞ্জে কিছু দেশীয় পেঁয়াজও এসেছে। এর বাইরে চট্টগ্রাম বন্দরে দুই দিনে চীন ও পাকিস্তান থেকে ৩৭১ টন পেঁয়াজ এসেছে। এসব পেঁয়াজের কেজি প্রতি আমদানি খরচ পড়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।

গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে গত রোববার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। গতকাল সেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়। তবে পাইকারী বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো ধরণের প্রভাব নেই। খুচরায় এখনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০১৯০ টাকায়।

পেঁয়াজের আড়তদাররা বলছেন, চাক্তাই খাতুনগঞ্জের আড়তে ব্যবসায়ীরা কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আমদানিকারকরা যে দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেন, আড়তদাররা সেই দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আড়তদারদের পক্ষে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশে পেঁয়াজের দরবৃদ্ধির সাথে সাথে প্রশাসনের লোকজন আড়তে অভিযান পরিচালনা করে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়। অথচ আড়তদাররা পেঁয়াজ আমদানি করেন না।

চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের ক্রেতা নেই। আসলে দাম বাড়ার সাথে অনেক ক্রেতা প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনেছেন। যার কারণে এখন চাহিদা নেই। তাই দামও কমছে।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ নেই। তবে আজ (গতকাল) অল্প কিছু দেশীয় পেঁয়াজ এসেছে।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চীন ও পাকিস্তান থেকে গত দুইদিন মোট ৩৭১ টন পেঁয়াজ এসেছে। ৯টি চালানে আসা এসব পেঁয়াজের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য হলো২ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ১২১ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সী দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের চালান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুল্কায়ন করা হচ্ছে।

Explore More Districts