চকরিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন – Chittagong News

চকরিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন – Chittagong News

ঢালাওভাবে ‘ট্রিট ফর এফ আই আর’ আদেশ দান ও বিএনপি-জমায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা আমলে নেওয়ার প্রতিবাদে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে আদালতে সামনে সড়কে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন

অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ অংশ নেন। আয়োজিত মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, দেশে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সাধারণ মানুষের জীবন কেটেছে খুবই দুর্বিষহ। পতিত স্বৈরশাসকের হাতে বিরোধীমতের লোকজন মামলা-হামলার শিকার হয়েছে। গত ৫ আগস্ট সেই স্বৈরশাসক পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা সরকারের বিভিন্ন পদে এখনও আসীন রয়েছে। চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তীও তাদের একজন। তিনি বিগত ৫ আগস্টের পর প্রায় নালিশী আবেদনে ‘ট্রিট ফর এফ আই আর’ হিসেবে গ্রহন করতে থানাকে আদেশ দিচ্ছেন। এতে দিন দিন সাজানো মামলার পরিমাণ বাড়ছে। আসামী হয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন নিরীহ লোকজন।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ইসলাম মিয়ার ছেলে ভুক্তভোগী আবদুল মোনাফ বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরশাসক ও তাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। স্বৈরশাসক পতনের পরও আমি হামলা ও উল্টো মামলার শিকার হয়েছি। আমরা অবিলম্বে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তীকে প্রত্যাহার ও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

পৌরসভার বাসিন্দা মৃত রফিক আহমদের ছেলে নাজেম উদ্দিন বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে আমার পরিবারের নেতৃগোচর সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের দায়ের করা নালিশী আবেদন এফ আই আর হিসেবে গ্রহন করতে থানাকে নির্দেশ দেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এদিকে আদালতের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত আধ ঘন্টাব্যাপী চলে এ মানববন্ধন। এতে অংশ নেয়া শত শত ভুক্তভোগী লোকজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিতে থাকে- আমার ভাই আসামী কেন, ম্যাজিস্ট্রেটের জবাব চাই’ এ ধরণের শ্লোগান দিয়ে মিছিল সহকরে চলে যান বিক্ষোব্ধ জনসাধারণ।

উল্লেখ্য, বিগত ৫ আগস্টের পর চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪০ দিনে ৪৫ টি নালিশী আবেদন “ট্রিট ফর এফ আই আর’ হিসেবে গ্রহন করতে চকরিয়া থানাকে আদেশ দেন। এসব মামলায় বিএনপি-জমায়াতের অনেক নেতাকর্মী আসামী হয়ছে বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা।

এমজে/

Explore More Districts