Post Views:
৫৮
নিজস্ব প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ডানার কারণে সাতক্ষীরার উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছে জেলা প্রশাসক। ঘুর্ণিঝড় ডানা যত উপকূল নিকটবর্তী হচ্ছে তত সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বুধবার সকাল থেকেই ডানার প্রভাবে জেলায় অবিরাম বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড় ডানার খবরে উপকূলীয় জনপদের মানুষের মধ্যে রয়েছে ক্ষয়ক্ষতির আশংকা।এদিকে বুধবার বিকেল ৪ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এর সভাপতিত্বে সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মঈনুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত মেজর ইশতিয়াক হোসেন, ৩৩ বিজিবি‘র অপারেশন অফিসার মাসুদ রানা,পানি উন্নয়ন বোর্ডের-১ এর প্রকৌশলী মো: সালাউদ্দীন আহমেদ, সহকারী পুলিশ মীর আসাদুজ্জামান, তথ্য অফিসার মো: জাহারুল ইসলাম, জেলা ত্রান ও পুন:বাসন কর্মকর্তা আব্দুল বাসেত প্রমুখ।সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, জেলার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার দূর্বল বেড়িবাঁধ নিকটবর্তি মানুষদের জন্য প্রস্তত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। উপকূলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেও ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে জেলার দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব্শীলদেরও ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৮৮৭ টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। জেলার ৭৮ টি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ৪৪২ মেট্রিকটন চাউল,নগত ৭ লক্ষ টাকা,গো-খাদ্যের জন্য ৬ লক্ষ টাকা,শিশু খাদ্যোর জন্য নগত ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ রাখা হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের-১ এর প্রকৌশলী মো: সালাউদ্দীন জানান, উপকূলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জরাজীর্ন ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
দূর্যোগ প্রবণ সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষের জন্য ঝড় জলোচ্ছাস যেন পিছু ছাড়ছে না। চলতি চছর ২৬ মে উপকূলীয় জনপদে হানা দিয়েছিলো ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় জনপদেও মানুষ এখন স্বাভাবিক হতে পারেনি। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ডানার খবরে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা যত নিকবর্তি হচ্ছে তত বেশী ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন উপকূলবাসীকে আতংকিত না হওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছে।