কুমিল্লার গোমতী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধ রোধে উপজেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ অভিযানে মাটি নিয়ে ওঠার রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে।
কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী গোমতী নদী প্রাচীন যুগ থেকে কুমিল্লার ঐতিহ্য ইতিহাস বহমান প্রবাহ দ্বারা কিছু ভূমিদস্যু কারণে গোমতী নদীর গতিপথ নষ্ট হচ্ছে।
মাটি কাটার মহোৎসব যেন থামছে না। মাটিকাটা সিন্ডিকেট প্রভাবশালী হওয়ায়। স্থানীয়দের কিছু বলার সাহসও নেই ।
যৌথভাবে গোমতী নদী থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন হচ্ছে। চলছে লুটতরাজ। এখন জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে বিশেষ পদ্ধতিতে বালু ও মাটি উত্তোলন। মাটি ও বালি উত্তোলনে তৈরি হয়েছে বিশেষ এক যৌথ সিন্ডিকেট।
সরজমিনে দেখা যায়, প্রত্যেকটির ড্রাইভারশনের পিলার উঠিয়ে মাটি কাটা হয় রাতের বেলা এবং সকালে আবার পিলার স্থায়ীভাবে বসিয়ে রাখা হয়।
দিনের বেলায় কম চোখে পরলেও সন্ধ্যা হলেই বেড়ে যায় ট্রাকে করে মাটি ও বালি সরানোর কাজ। মাটি ও বালি সরিয়ে রাখা হয় নির্দিষ্ট একটি স্থানে।ট্রাকের বিকট শব্দে রাতে ঘুমাতে পারেন না আশেপাশের এলাকার মানুষ। কিছু সিন্ডিকেট কে টাকা দিয়ে এমন কর্মকাণ্ড চলছে বলে অভিযোগ।
চরে দ্রুত মাটি কাটা বন্ধ নাহলে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগের সম্মুখীন হতে হবে কুমিল্লাবাসীকে এমনটাই আশংকা।
নদীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জানা যায়, সম্প্রতি গোমতী নদী ঘিরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি কাটা ও বালি তোলার চোর চক্র। খোশমেজাজেই চালছে মাটি চুরির বাণিজ্য।
জেলার আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর,সংরাইশ,পাঁচথুবি,শালধর, জালুয়াপাড়া,গোলাবাড়ি, সুবর্ণপুর, সাহাপুর, অরণ্যপুর, চাঁন্দপুর ব্রিজ এলাকা, বাটপাড়া, কাপ্তানবাজার, পালপাড়া, আলেখারচর, বাবুর বাজার, শিমাইলখাড়া, বালিখাড়া, রামনগর, পূর্বহুড়া, নানুয়ার বাজার, মিথিলাপুর, বাহেরচর, শ্রীপুর, গোবিন্দপুর, শ্যামপুর, মালাপাড়া, মনোহরপুর, হাসনাবাদ, কংশনগর বাজার, রামচন্দ্রপুর, এদবারপুর, বিভিন্ন এলাকাসহ নদীর স্পটে মাটি কাটা চক্র বেশ সক্রিয়।
এছাড়াও শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরযোগে বাসাবাড়ি, পুকুর ভরাট, ইটের ভাটাসহ নানা স্থানে মাটি সরবরাহ করছে। এতে নদীর বাঁধসহ ঐসব এলাকার রাস্তাঘাটগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক জানান, মাটি কাটা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে। তবে যাদেরকেই মাটিকাটায় পাওয়া যাবে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে অভিযান চলমান রয়েছে।