গোবিন্দগঞ্জে চলছে আধাবেলা হরতাল

গোবিন্দগঞ্জে চলছে আধাবেলা হরতাল

গোবিন্দগঞ্জে চলছে আধাবেলা হরতাল

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের সিংজানি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল বাতিলসহ কেন্দ্রটিতে পুণরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ডাকে চলছে আধাবেলা হরতাল।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া হরতাল পালিত হচ্ছে মহিমাগঞ্জ বাজারসহ স্টেশন এলাকায়। যা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

সকাল ১০টার দিকে মহিমাগঞ্জ বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে হরতাল সমর্থকরা। মিছিলটি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

তবে এখন পর্যন্ত হরতাল চলাকালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালের সমর্থনে মহিমাগঞ্জ বাজারে কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকলেও রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলছে স্বাভাবিক।

সোমবার রাত ৯টার দিকে একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলসহ কেন্দ্রটিকে পুণরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে হরতালের ঘোষণা দেয় আ.লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজওয়ানুর রহমান মুন্সি, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কাদির (আনারস) ও রুবেল আমিন (মোটরসাইকেল)।

আ.লীগের প্রার্থী রেজওয়ানুর রহমান মুন্সির অভিযোগ, ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মহিমাগঞ্জ ইউপির সিংজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নানা অনিয়মের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। কেন্দ্রটির ঘোষিত ফলাফল বাতিল করাসহ পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে মহিমাগঞ্জে আধাবেলা হরতাল ডাকা হয়। হরতালে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মহিমাগঞ্জ ইউপির সর্বসাধারণ সমর্থন জানিয়ে হরতাল পালন করছেন।

এরআগে, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর রাতেই গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিংজানি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলাম কাদির।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সিংজানি কেন্দ্রে আমার কোনো এজেন্টকে থাকতে দেয়া হয়নি। সকাল ১০টার পর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোটগ্রহণে দায়িত্বরতদের সহায়তায় প্রভাব বিস্তার করে ব্যালট পেপারে সিল মারেন প্রতিপক্ষ প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানসহ তার লোকজন। এ কারণে কেন্দ্রটিতে আমার আনারস প্রতিকে অনেক কম ভোট দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করার কথাও জানান তিনি।

চতুর্থ ধাপে মহিমাগঞ্জসহ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে বিছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে মহিমাগঞ্জ ইউপির নয়টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী চশমা প্রতিকের (আ.লীগের বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান ৭ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বে-সরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
প্রতিদ্বন্দ্বী অপর তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আ’লীগের রেজওয়ানুর রহমান মুন্সি নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ৩০৯, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কাদির আনারস প্রতীকে ৬ হাজার ৫৫১ ও রুবেল আমিন শিমুল মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পান ৪ হাজার ৬৯৬। ইউনিয়নে মোট ৩১ হাজার ৭৬৫ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ২৪ হাজার ৬৬১ জন।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান বলেন, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশেই মহিমাগঞ্জ ইউপির প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। জনগণের ভোটেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। অথচ পরাজিত প্রার্থীরা মনগড়া নানা অভিযোগ করাসহ মহিমাগঞ্জের শান্তিপ্রিয় পরিবেশে অশান্তি তৈরির পায়তারা করছেন।

অযৌক্তিক এই হরতালে মহিমাগঞ্জ ইউপির জনসাধারণের কোন সমর্থন নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে, হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকেই মহিমাগঞ্জ এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করার কথা জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইজার উদ্দিন।

এ জাতীয় আরো খবর…

Explore More Districts