গোপালগঞ্জে শিশুর অন্ধত্ব রোধে চিকিৎসকদের নিয়ে কর্মশালা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রি-ম্যাচিউর (অপরিনত) শিশুর অন্ধত্ব রোধে কাজ শুরু করেছে গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।
আজ শনিবার হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে কর্মশালায় এ তথ্য জানান হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. নাহিদ ফেরদৌসী।
কর্মশালা থেকে জানানো হয়, প্রি-ম্যাচিউর (অপরিনত) শিশু যারা ৩০ সপ্তাহের আগে বা পরে জন্ম গ্রহন করে ও যাদের ওজন ২ কেজির কম। আগে এ ধরনের শিশু মৃত্যু বরণ করত। এখন চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। শিশু মৃত্যু কমেছে। কিন্তু প্রি-ম্যাচিউর (অপরিনত) শিশুর রেটিনা সমস্যা থাকলে সে ৬ মাসের মধ্যে অন্ধত্ব বরণ করে। এটি প্রতিরোধে এ ধরণের শিশুকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা বা অপারেমনের মাধ্যমে অন্ধত্ব মোচনে কাজ করছে গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এ ধরণের সেবা ঢাকা, ময়মনসিংহ,চট্টগ্রাম ও রংপুরে রয়েছে। এ অঞ্চলের শিশুদের জন্য এ সেবা গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। এতে শিশুদের অন্ধত্ব রোধ করা সম্ভব হবে।
একটু সচেতন হলেই শিশুদের অন্ধত্বরোধ করা সম্ভব বলে জানান গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক ডা. সিরাজুল ইসলাম।
এ সেবা কার্যক্রম গোপালগঞ্জে প্রথম। স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদের অন্ধত্ব রোধ করা সম্ভব বলে মত দেয় শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জয়শ্রী চক্রবর্ত্তী ।
এ কর্মশালায় গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡বধায়ক ডা. অসিত কুমার মল্লিক, শিশু, গাইনী ও চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্সরা অংশ নেন।
এ জাতীয় আরো খবর..