গোপালগঞ্জে বিয়ের আড়াই বছর পর স্ত্রীকে অস্বীকার, সংসার না করলে আত্মহত্যার হুমকী স্ত্রীর

গোপালগঞ্জে বিয়ের আড়াই বছর পর স্ত্রীকে অস্বীকার, সংসার না করলে আত্মহত্যার হুমকী স্ত্রীর

গোপালগঞ্জে বিয়ের আড়াই বছর পর স্ত্রীকে অস্বীকার, সংসার না করলে আত্মহত্যার হুমকী স্ত্রীর

গোপালগঞ্জে বিয়ের আড়াই বছর পর স্ত্রীকে অস্বীকার, সংসার না করলে আত্মহত্যার হুমকী স্ত্রীর

 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ

পুনরায় চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক দিতে না পারায় বিয়ের আড়াই বছর পর স্ত্রীকে অস্বীকার করেছে এক স্বামী। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়নখানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, এলাকার শহিদুল শেখের ছেলে শরিফ শেখ (২১) সাথে, দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২১ সালে প্রথমে নোটারী পাবলিক ও পরে ২৮/০৬/২০২১ ইং তারিখে কাবিন রেজিস্ট্রির মাধ্যমে সামাজিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়, পার্শবর্তী বাগধা ইউনিয়নের জয়রাম পট্টি গ্রামের এস রহমান ফকিরের মেয়ে রুপা আক্তার মিম (১৯) এর। বিয়ের পর ব্যবসার কথা বলে শশুরবাড়ী থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নেয় স্বামী শরীফ। দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে উক্ত ব্যবসা থেকে বিতাড়িত শরীফ কিছুদিন পর নতুন ব্যবসা করবে বলে আরো ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রীর কাছে। চাহিদা মতো বাবার বাড়ী থেকে টাকা এনে দিতে অপারগতা জানালে স্ত্রীকে বিয়ের কথা অস্বীকার করে অন্য নারীর সঙ্গে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে নারী লোভী শরীফ। এ ঘটনায় স্ত্রী মিম লিগ্যাল এইডে অভিযোগ জানালে, বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল, মোঃ সালাম ভাট্টি, আঃ রব মিয়া, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গির খান, কাওসার খান, লিগ্যাল এইড ইউনিয়নকর্মী শিখা দাস সহ একাধিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালায়। চেয়ারম্যান বলেন- মেয়েটি উপযুক্ত বিচার পাবে। উক্ত শালিস বৈঠকে শরীফ কাবিন রেজিস্ট্রিতে “আমার স্বাক্ষর জাল” বলে বিবাহ অস্বীকার করে। পরে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শরীফ একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন স্ত্রী রুপা আক্তার মিম -এর বিরুদ্ধে। কাবীন রেজিস্ট্রার কাজী আঃ ফারাহ বলেন- শরীফ ও রুপা আক্তার মিম স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে কাবিন রেজিস্ট্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। এ ঘটনায় গৃহবধৃ মিম স্বামীর ঘরে ঠাই পাওয়ার দাবিতে ঘুরছে কোর্ট কাচারী সহ শালিস মাতব্বরদের দ্বারে দ্বারে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন- আমাকে অপহরন করে নিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে শরীফ, পরে আবার কাবিন রেজিস্ট্রি করে, স্বামীর সাথে আড়াই বছর ঘর-সংসার করেছি, বিয়ের পর সুদে- ব্যাজে টাকা এনে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছে আমার পরিবার, আরো ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছে, দিতে না পারায় আমাকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক করেছে, আমি সুষ্ঠুভাবে শান্তিতে স্বামীর ঘর করতে চাই, স্বামী গ্রহন না করলে আত্মহত্যা করবো। গৃহবধুর মা রেহেনা বেগম, আমির দাড়িয়া, ইউনুস ফকির, শেখ সিরাজুল ইসলাম, হালিমা বেগম, রেবা বেগম সহ একাধিক এলাকাবাসী জানান- শরীফ তার শশুর বাড়ীতেই থাকতো খাইতো দীর্ঘদিন আমরা দেখেছি, এখন এ বিবাহ অস্বীকার করে কিভাবে? এটাই তাদের প্রশ্ন।

অভিযুক্ত শরীফ শেখ এ বিষয়ে বলেন- মেয়েটি স্ব-ইচ্ছায় আমার কাছে এসেছিলো, অপহরন করা ও যৌতুক নেওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট, কাবিন রেজিস্ট্রিতে আমার স্বাক্ষর জাল।

এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সিআইডি’র এসআই ফরহাদ শেখের সাথে যোগোযোগ হলে তিনি বলেন- মামলা তদন্তাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধু রুপা আক্তার মিম নিজে বাদী হয়ে শরীফ শেখ ও কাওসার খান কে বিবাদী করে বরিশাল বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- সিআর-১৩০/২০২৩

Explore More Districts