গুলি করে মারার হুমকিদাতা সেই আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

গুলি করে মারার হুমকিদাতা সেই আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকায় ভোট না দিলে হাত কেটে নেওয়া ও গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিদাতা সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৭৩ (২খ)/৮৪ক ধারায় সিংগাইর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান তিনি।

মামলা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকালে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মী শাহানুর ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক ও মিনহাজ প্রচার চালাতে গেলে হুমকি দেন নৌকার সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার।

এ সময় উচ্চস্বরে আসামি আলী ইস্কান্দার বলেন, ‘এবার আমার দেখার আছে, আমি তো ভিতরে থাকবো, নৌকায় কে ভোট না দেয়, আমি তার হাত কাইট্যা ফেলামু, সরকার আমার, পাওয়ার আমার, এমপি আমার, ট্রাকের চাকায় ফালাইয়া দিমু।’ এছাড়া বিভিন্ন ভয়ভীতি ও উসকানিমূলক কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি হয় বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন। এর আগে হুমকির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও তা প্রচার হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু।

সংবাদ সম্মেলনে টুলু বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ইরতা গ্রামে ট্রাক প্রতীকে ভোট চাইতে গেলে আমার কর্মী আব্দুর রাজ্জাকের হাত কেটে নেওয়াসহ হত্যার হুমকি দেন আলী ইস্কান্দার। এছাড়াও গত কয়েকদিনে মমতাজ বেগমের সমর্থকরা ট্রাক প্রতীকের কর্মীদের মারধরসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

এদিকে ওইদিন বিকেলেই ইরতা গ্রামে ওঠান বৈঠকে মমতাজ বেগমের পাশেই ওই হুমকিদাতা আলী ইস্কান্দারকে দেখা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযুক্ত ইস্কান্দার আলী বলেন, বিষয়টি আসলে হুমকি নয়। তার পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাই রাগ করেছি। এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি মমতাজ বেগম বলেন, বিষয়টি একতরফা নয়। তারা আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, নির্বাচনী ক্যাম্প আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। তবে আমি এমনটা পছন্দ করি না। তবে কেউ যদি হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন- এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এর দায় আমি এবং দল নেবে না।

এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Explore More Districts