গাজীপুরে ব্যাংকের এটিএম বুথে শ্রমিক ধর্ষণ – Daily Gazipur Online

গাজীপুরে ব্যাংকের এটিএম বুথে শ্রমিক ধর্ষণ – Daily Gazipur Online

ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরে বেশি বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতর একটি কক্ষে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
পুলিশ ওই শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
রোববার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতরের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মো. লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। লিটন মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে দায়িত্বরত আছেন।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, এটিএম বুথ থেকে টাকা উঠানোর সূত্র ধরে ভিকটিম কারখানা শ্রমিককের সাথে পরিচয় হয় শ্রীপুরের এমসি বাজার এলাকার তালহা স্পিনিং মিলের সামনে স্থাপন করা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মী লিটনের।
ভিকটিম কারখানা শ্রমিক স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করত। তালহা স্পিনিং মিল নামের কারখানায় ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বুথের নিরাপত্তা প্রহরী লিটন ভিকটিমের বাবার মোবাইল ফোনে ভিকটিমকে রোববার সকাল ৬টায় ডেকে নেয়। বুথে যাওয়ার পর কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন এই বলে লিটন মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। পরে ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ের চাকরির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত লিটন মেয়ের চাকরির কথা চিন্তা না করতে বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে এটিএম বুথের ভেতরে বসিয়ে রাখা কক্ষে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে রাস্তায় ঘটনাটি মেয়ে তার বাবাকে জানান।
ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার মো. হানিফ ফোন রিসিভি না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, ঘটনার পরপরই ভিকটিমের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার পরপরই আসামি পালিয়ে যায়।

Print Friendly, PDF & Email

Explore More Districts