তেল আবিব, ১২ নভেম্বর – গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে একের পর এক হোঁচট খাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটি স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে সংঘর্ষে প্রায়ই নিজেদের সেনা হারাচ্ছে। এবার গাজায় ইসরায়েলের এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ চলাকালে তাদের এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। সোমবার তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। নিহত ওই সেনা কর্মকর্তা রিজার্ভ অফিসার ছিলেন।
নিহত ওই সেনার নাম মেজর ইতমার লেভিন ফ্রিডম্যান। তিনি উত্তর গাজায় অভিযানকালে নিহত হয়েছিলেন। রিজার্ভ ফোর্সের এ সেনা স্কুলশিক্ষক ছিলেন। তিনি লোটার এলিট ইউনিটের সদস্য ছিলেন। ইউনিটটি সন্ত্রাসী হামলা থেকে রেড সি রিসোর্ট শহর রক্ষা করার জন্য দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সূত্রের বরাতে আইডএফ জানিয়েছে, ট্যাংকবিরোধী হামলায় জাবালিয়ায় তিনি আঘাত পেয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েল এ এলাকায় অভিযান জোরদার করেছে। গত ২ নভেম্বর থেকে গাজায় যুদ্ধরত সেনাদের মধ্যে প্রথম কোনো মৃত্যুর ঘটনা। এ সময় উত্তর গাজায় ইসরায়েলের তিন সেনা নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু গওয়া হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলের ৩৭১ সেনা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছর ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এ জন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ১২ নভেম্বর ২০২৪