চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে প্রস্তাবিত নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে হামাস। হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশর এই তিনটি দেশের মধ্যস্ততায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। ইসরায়েলের তত্ত্বাবধানে প্রস্তাবিত এই চুক্তির প্রতি হামাসও ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির এক জ্যেষ্ঠ নেতা। বিবিসিকে হামাসের ওই নেতা বলেন, ‘(গাজায়) নতুন একটি যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তুত হয়েছে এবং আমরা তাতে সাড়া দিয়েছি। তবে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে গাজা পুনর্গঠন সংক্রান্ত কয়েকটা ধারা বা শর্তও যেন সেই চুক্তিতে সংযুক্ত করা হয়।’
তবে এই চুক্তি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত তেমন কিছু জানা যায়নি। কেবল এটুকু জানা গেছে, ওই প্রস্তাব অনুযায়ী গাজায় প্রাথমিকভাবে অন্তত ৪০ দিন হামলা বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। উপত্যকাটিতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ প্রবেশের সুযোগও দেবে দেশটি। এ সময় ৭ অক্টোবর গাজা সংঘাত শুরুর দিন ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে জিম্মি করা ২৫৩ ব্যক্তির মধ্যে বাকিদের মুক্তি দেবে হামাস। এর আগে প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতির সময় চুক্তি অনুযায়ী ওই জিম্মিদের বেশ কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র— উভয়পক্ষই বলেছে যে তারা হামাসের জবাব পর্যালোচনা করছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, হামাসের প্রতিক্রিয়ার প্রসঙ্গে ইসরায়েলের অবস্থান জানতে বুধবার রাষ্ট্রটির সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি এক বার্তায় বলেছেন, ‘এক সপ্তাহ আগে হামাসের কাছে চুক্তির খসড়া পাঠানো হয়েছিল। হামাস নেতারা আমাদের জানিয়েছেন যে চুক্তির ব্যাপারে তারা ইতিবাচক। আমরা আশা করছি শিগগিরই একটি সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি আমরা উপহার দিতে পারব।’