জেরুজালেম, ০৭ সেপ্টেম্বর – গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হামলায় আরও অন্তত ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শনিবার ভোরে একাধিক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪৫ জন গাজা সিটির বিভিন্ন স্থানে প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা শহরটি দখল ও সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক দক্ষিণে সরিয়ে দেওয়ার অভিযানের অংশ হিসেবে এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার গাজা সিটির একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। গত দুই দিনে এটি দ্বিতীয়বারের মতো এমন হামলা। এর আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের শহর ছাড়তে সতর্ক করা হয়েছিল এবং ‘মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল। তবে মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মহল এ পরিকল্পনা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে, কারণ এতে গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, ধ্বংস করা উঁচু ভবনে হামাস সদস্যরা গোয়েন্দা সরঞ্জাম বসিয়েছিল এবং সেখান থেকে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইসরায়েল গাজা সিটিতে পূর্ণাঙ্গ সামরিক অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। যদিও সুনির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি, সেনারা ইতোমধ্যে শহরের উপকণ্ঠে অভিযান ও বিমান হামলা জোরদার করেছে। সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, আসন্ন দিনগুলোতে হামাসের ব্যবহৃত স্থাপনাগুলো, বিশেষ করে বহুতল ভবনগুলোকে টার্গেট করা হবে।
মানবাধিকারকর্মী ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এ অভিযান চলতে থাকলে গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে এবং হাজারো মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এনএন/ ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫