২৩ April ২০২৫ Wednesday ৮:৪৮:৪৮ PM | ![]() ![]() ![]() ![]() |
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি হাটের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রূপ নেয় সহিংসতায়। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে ককটেল সদৃশ বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তবে বুধবার ২৩ এপ্রিল সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পরপরই কিছু প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও ২৩ এপ্রিল সকালে সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে গলাচিপা জুড়ে শুরু হয় তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান ও কেন্দ্রীয় এক প্রভাবশালী নেতার অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধ থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
চিকনিকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান লিমনের অভিযোগ,‘শিপলু খানের অনুসারী যুবদল নেতা মুকুল প্যাদা অবৈধভাবে হাটের টোল আদায়ের একটি ইজারা নিয়েছিলেন। উপজেলা প্রশাসন তা বাতিল করলেও তিনি সাদা কাগজে চুক্তি দেখিয়ে জোরপূর্বক আদায় শুরু করেন। বাধা দিলে আমাদের ওপর হামলা হয় এবং ককটেল বিস্ফোরিত হয়।’
অন্যদিকে, মুকুল প্যাদা দাবি করেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি নিয়েই টোল আদায় শুরু করি। কিন্তু লিমনের নেতৃত্বাধীন একটি দল এসে বাধা দেয় এবং আমাদের সঙ্গে থাকা তহশিলদার আলতাফ হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।’
সংঘর্ষের খবর পেয়ে গলাচিপা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাসিম রেজা এবং ওসি আশাদুর রহমান দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “হাটটির কোনো ইজারা হয়নি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তহশিলদার খাস আদায় করছেন। রাজনৈতিক পক্ষগুলোকে দায়িত্ব দিলে সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকেই যায়। বিষয়টি আমরা দলীয় উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম রেজা বলেন,‘চিকনিকান্দি হাটের টোল খাস আদায়ের আওতায়। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে কিছু সময়ের জন্য বিশৃঙ্খলা তৈরি হলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ওসি মো. আশাদুর রহমান বলেন,‘ঘটনাস্থলে আমরা উপস্থিত ছিলাম। স্থানীয়রা যেটিকে ককটেল বলছেন, সেটি আসলে পটকা ছিল বলে আমাদের ধারণা। কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |