তবে দলীয় সূত্রগুলো বলছে, তাঁরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। সরকার আদেশ জারিতে আরও সময় নিলে জামায়াত শক্ত প্রতিক্রিয়া জানাবে, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
জামায়াত নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন, লন্ডন বৈঠকের পর থেকে কয়েকজন উপদেষ্টার প্রভাবে সরকারপ্রধান বিএনপির দিকে ঝুঁকেছেন। জুলাই ঘোষণাপত্রে তাঁদের চাওয়া প্রাধান্য পেয়েছে। সর্বশেষ জুলাই সনদের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়াসহ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ২১ ধারা সংশোধনীর পরিবর্তনসহ বিএনপি যেভাবে চাইছে, সবকিছু সেভাবেই হচ্ছে। গণভোটের প্রশ্নেও সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা বিএনপির চাওয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে জামায়াতের নেতারা মনে করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের উচ্চপর্যায়ের একজন নেতা বলেন, তাঁরা মনে করছেন সরকার একটি দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে। এমনটা হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান কঠিন হয়ে উঠবে। এতে সরকারের প্রতি মানুষ আস্থা হারাচ্ছে।
এই নেতার ভাষ্য, জামায়াতকে নির্বাচন বর্জন করার মতো পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়া হলে তাঁরা প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবেন।


