ডেভিড গ্রেবিয়ার্ড নামের একটি শিম্পাঞ্জির ওপর দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে গুডঅল দেখতে পান, প্রাণীটি গাছের ডাল দিয়ে প্রয়োজনীয় হাতিয়ার বানাতে পারে। আর সে সেটি ব্যবহার করে উইপোকা ধরতে পারে। এ পর্যবেক্ষণযন্ত্র কিংবা হাতিয়ার বানানোর ক্ষেত্রে মানুষের একক কৃতিত্বকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
১৯৭৭ সালে জেন গুডঅল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এ প্রতিষ্ঠান বৃহৎ প্রাইমেট প্রজাতির প্রাণীর প্রাকৃতিক আবাস রক্ষায় কাজ করে। একই সঙ্গে প্রাণী ও পরিবেশ সুরক্ষায় তরুণদের কাজে সহায়তা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
২০০২ সালে গুডঅল জাতিসংঘের শান্তিদূত হন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব সংস্থাটি এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, আজ জাতিসংঘ পরিবার গুডঅলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছে। বিজ্ঞানী, সংরক্ষণবাদী ও জাতিসংঘের শান্তিদূত হিসেবে তিনি এই গ্রহ, এর প্রতিটি জীবের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। মানবতা ও প্রকৃতির জন্য অসাধারণ উত্তরাধিকার রেখে গেছেন তিনি।