খুলনা বিভাগীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার

খুলনা বিভাগীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করাসহ ১০ দফা দাবি সমাধানের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে। ধর্মঘটের ফলে খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত পদ্মা, মেঘনা, যমুনার ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন সকাল থেকেই বন্ধ থাকে। একই সঙ্গে পেট্রলপাম্পগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। খুলনার তিনটি ডিপো থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৯ লাখ লিটার জ্বালানি তেল খুলনা, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ১৫ জেলায় সরবরাহ করা হয়।
রোববার (২৫ মে) দুপুরের দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান রতন।
এর আগে সকাল ৬টা থেকে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পেট্রোল পাম্প থেকে তেল বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন সাধারণ ভোক্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তেল বিক্রির কার্যক্রম বন্ধের পরই সংকট সমাধানে বৈঠকে বসে বিপিসি ও মালিক সমিতি। বৈঠকে ১৫ দিনের মধ্যে সব দাবি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
তা ছাড়া, অন্যান্য দাবিগুলো দুই মাসের মধ্যে সুরাহা না হলে পুনরায় কর্মবিরতি যাবে বলেও জানান পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতারা।
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরি শ্রমিক ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক মীর মোকসেদ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রোববার সকাল ছয়টা থেকে খুলনার ডিপোগুলো থেকে কোনো তেল উত্তোলন ও পরিবহন করা হয়নি। জ্বালানি তেল পরিবেশক মালিকপক্ষ এই কর্মসূচির ডাক দেয়। জ্বালানি তেল বিপণনও বন্ধ থাকে।
জ্বালনি তেল পরিবেশকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে তেল বিক্রয়ের কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করা; সড়ক অধিদপ্তরের ইজারা, ভূমির ইজারা মাশুল আগের মতো বহাল রাখতে হবে; পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারাপ্রাপ্ত ভূমির নবায়নকালে ইজারা নবায়নের আবেদনের সঙ্গে নির্ধারিত ইজারা–মাশুলের পে-অর্ডার, সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরে জমা দিলে ওই ইজারা নবায়ন বলবৎ বিবেচিত হওয়ার বিধান করা; বিএসটিআই কর্তৃক আগের মতো শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিট, স্টেম্পিংয়ের পরিমাপ যাচাইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা, বিভিন্ন ফি আগের মতো করা, আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস ও নিবন্ধনপ্রথা বাতিল করা।
১০ দফা দাবির মধ্যে আরও আছে, যেহেতু পেট্রলপাম্প শিল্প নয়, এটি কমিশন এজেন্টভিত্তিক ব্যবসা, তাই পেট্রলপাম্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ, বিআরসি, কলকারখানা ও ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স বা নিবন্ধনের বিধান বাতিল করতে হবে; দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুমোদনবিহীন ও অবৈধভাবে ঘরের মধ্যে ও খোলা জায়গায় যত্রতত্র মেশিন স্থাপন করে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করা, বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ করতে হবে; ট্যাংকলরির চালকসংকট কাটাতে ট্যাংকলরির চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স ইস্যু সহজতর করতে হবে; গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে রাস্তায় যত্রতত্র ট্যাংকলরি থামানো যাবে না। তেলের ডিপো গেটে ট্যাংকলরির কাগজপত্র পরীক্ষার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তজেলা রুটে পারমিট ইস্যু করতে হবে।

Explore More Districts