মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাথে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে সামনের ওষুধের দোকানদারদের সংঘর্ষের ঘটনায় গতকালও গোটা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। একদিকে ওষুধের দোকানদারদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ এনে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন অপরদিকে ওষুধের দোকানদারদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ এনে দোকানগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। দু’পক্ষের এমন মুখোমুখি অবস্থানের ফলে হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার দিন সোমবার রাত থেকে শুধুমাত্র খুমেক হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ কেমিষ্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির পক্ষ থেকে গতকাল রাতে সভা ডেকে আজ থেকে খুলনা জেলাব্যাপী সকল ওষুধের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসকরাও গতকাল যেমন জরুরি চিকিৎসা ছাড়া সকল প্রকার স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রেখেছেন তেমনি আজ থেকে সেটি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতরাতে খুমেক হাসপাতাল ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা: সাইফুল ইসলাম অন্তর বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর যারা হামলা করেছেন তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত তাদের ধর্মঘট যেমন চলবে তেমনি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও পৃথক কর্মসূচি আসছে। গতকাল রাতে ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সভা করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে তিনি জানান।
পক্ষান্তরে বাংলাদেশ কেমিষ্টস্ এন্ড ড্রাগিষ্টস্ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্য মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, খুলনা জেলার বিভিন্ন শাখার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের উপস্থিতিতে গতরাতে সভা করে ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত খুলনা জেলার সকল ওষুধের দোকান আজ থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে গতরাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত পৌনে ১২টায় এ বিষয়ে আরও একটি স্থানে সভা চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে ওই সভার কোন সিদ্ধান্ত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
অবশ্য কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মমতাজুল হক বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাথে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সোমবারের সংঘর্ষের ঘটনাটি নিয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল আজ বুধবার উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে একটি সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে। তবে ওই ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কোন মামলা বা অভিযোগ করেনি বলেও তিনি জানান। যদিও ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি বলেন, হামলার ঘটনায় কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল মামলা করা হয়েছে। কিন্তু গতরাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: দ্বীন-উল-ইসলামের মোবাইলে রিং করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।