গত তিন বছর ধরে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে সরকার। বেগম জিয়াকে যখন জেলহাজতে পাঠানো হয় তিনি সুস্থ ছিলেন।পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন। জামিনে বের হয়েছেন হুইলচেয়ারে করে। বেগম জিয়াকে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তার খাদ্যে বিষ ক্রিয়া করা হতে পারে।
আজ (২৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠে মুক্তারপুর সেতু সংলগ্ন কদম রসুল কলেস্টোরেজ মাঠে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসা করানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন দলটির সিনিয়র যুগ্মসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে ভয়ঙ্কর নীলনকশা করছে আ.লীগ। শেখ হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়। ক্ষমতায় থাকতে খালেদা জিয়াকে একমাত্র পথের কাটা মনে করছে সে। এজন্য খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা না দিয়ে পৃথিবী থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজিত সভায় সঞ্চালনা করেন দলটির জেলা শাখার সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন। সভাপতিত্ব করেন দলটির জেলা আহ্বায়ক ও সাবেক উপমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. আবদুল হাই।
এ সময় আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী সোহেল, কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছা সেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সমম্পাদক আব্দুস সালাম, ইশরাক হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি সুলতান আহমদ প্রমুখ।
আব্দুল হাই বলেন, বিদেশিরা এদেশের বড় বড় চোরদের তালিকা করছে। আপনারাও শহর থেকে গ্রামের সকল চোরদের তালিকা তৈরি করুন।এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সকরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগের রাস্তাঘাটের নেতাকর্মীরা কথায় কথায় চিকিৎসার জন্য বিদেশ যায়। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ফাঁসির রায় মওকুফ করে রাতের আঁধারে বিদেশে পাচার করে দেয় রাষ্ট্রপতি।
অথচ বেগম জিয়ার বেলায় আইন দেখায় তারা। বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। এদেশের মানুষ সব বোঝে। বেগম জিয়া যদি বর্তমান সরকারের ক্ষমতাকে দীর্ঘ করতে সহযোগিতা করত, তাহলে তাকে এত নির্যাতন সহ্য করতে হতো না।