ওজন কমাতে বা শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটাহাঁটি একটি সহজ এবং কার্যকর শরীরচর্চা। নিয়মিত হাঁটলে শুধু ওজন কমে না, সেই সঙ্গে মানসিক চাপ কমে, হৃদযন্ত্র ভাল থাকে এবং হজম প্রক্রিয়াও উন্নত হয়। তবে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন থাকে—খালি পেটে হাঁটবেন, না ভরা পেটে? দু’ভাবেই ক্যালরি ঝরে, কিন্তু কোন পদ্ধতিতে বেশি উপকার?
খালি পেটে হাঁটা – ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’
পুষ্টিবিদরা বলেন যাদের মূল লক্ষ্য ওজন কমানো, তাদের খালি পেটে হাঁটাই উচিত। একে বলা হয় ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’।
খালি পেটে হাঁটার সময় শরীরে খাবার না থাকায় শক্তির জন্য গ্লুকোজ পাওয়া যায় না। তখন শরীর বাধ্য হয়ে জমে থাকা ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে, যার ফলে ওজন দ্রুত কমে। এ ছাড়াও সকালে উঠে হাঁটলে সূর্যের প্রথম আলো থেকে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পায়, এবং হজমের সমস্যাও কমে যায়।
চিকিৎসকরা আরও ব্যাখ্যা করেন যে না খেয়ে হাঁটার সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকে। তখন লিভার গ্লাইকোজেন ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি করে পেশিগুলোকে শক্তি দেয়।
ভরা পেটে হাঁটা – হজমের সহায়ক
খাওয়ার পরে হাঁটারও রয়েছে একাধিক উপকারিতা। এই সময় শরীর সদ্য খাওয়া খাবার থেকেই শক্তি নেয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে—বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী। যদিও খালি পেটে হাঁটার তুলনায় এতে কম ক্যালরি ক্ষয় হয়, তবুও খাওয়ার পর মাত্র ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই হজমে সুবিধা হয় এবং গ্যাস-ব্লোটিংয়ের সমস্যা কমে।
যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য খালি পেটে হাঁটা বেশি উপযোগী। আর যারা হজমশক্তি বাড়াতে চান বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য খাওয়ার পর হালকা হাঁটাহাঁটি ভালো। শরীরের প্রয়োজন বুঝে হাঁটার সময় ঠিক করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
আইএ