খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামের বন মোরগ শিকারী মো. মোস্তফা’র নিখোঁজ হওয়ার ১ সপ্তাহেও কোন খোঁজ মেলেনি।
নিখোঁজ মোস্তফাকে উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ দীঘিনালা উপজেলা শাখা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুর ১১টায় বাবুছড়া বাজারে মানববন্ধন করে নিখোঁজ মো. মোস্তফার পরিবারের লোকজন, এলাকাবাসী ও নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ। পরে বাবুছড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আল আমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য সচিব এস এম মাসুম রানা, দীঘিনালা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলম হিরা প্রমূখ।
সমাবেশ থেকে বক্তারা নিখোঁজ হওয়া মো. মোস্তফাকে উদ্ধারের দাবীতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবী করেন৷
এই বিষয়ে আরও
মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে নিখোঁজ মোস্তফার স্ত্রী সুফিয়া বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘আমার স্বামীকে উদ্ধার করে দিন। নয়তো আমাদের না খেয়ে সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় থাকতে হবে।’
জানা যায়,গত ৬ মে ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাবুছড়ার নুনছড়ি এলাকায় মুরগী শিকার করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মোঃ মোস্তফা। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার সাথে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। নিখোঁজ হওয়া মোস্তফাকে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিখোঁজ হওয়া মো. মোস্তফা বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা সেরাগ মিয়ার ছেলে।
গত সোমবার তাঁর সন্ধানে বাবুছড়া ইউনিয়নের পাহাড়ি-বাঙালি সম্মিলিতভাবে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ জীবন চাকমাকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মোস্তফার সন্ধানে পাহাড়ি-বাঙালি নেতাদের সমন্বয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।’
নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও মোঃ মোস্তফাকে মুক্তি না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্থ তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় নিখোঁজের ছেলে মোফিজুল হক (২১) দীঘিনালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘নিখোঁজ মোস্তফাকে খুঁজে বের করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’