নিজস্ব প্রতিবেদক॥ যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাবদিয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর রাসেল হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। দুইজনকে অভিযুক্ত করে এসআই শামীম হোসেন যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা হলো, উপজেলার হাসানপুর গ্রামের আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মাসুদ হোসেন (১৯) ও বিষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রউফ মোড়লের ছেলে অহিদ হাসান (১৯)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নিহত রাসেল হোসেন (২৬) সাবদিয়া গ্রামের আব্দুল মাজিদ মোড়লের ছেলে। পড়াশোনার পাশাপাশি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। গত বছরের ১৬ আগস্ট বিকেলে তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বাড়ি থেকে কেশবপুরের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে স্থানীয় ঘোপসানা রোডে তার মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু রাসেলকে কোথাও পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন চিংড়া গ্রামে ডেপার মাঠে রাসেলের গলাকাটা লাশ দেখতে পান। এই খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে লাশটি রাসেলের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুল মাজিদ মোড়ল অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি ক্লুলেস হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তিসহ নানা পন্থায় হত্যার সাথে জড়িতদের শনাক্ত ও আটকের জন্য মাঠে নামেন। এক পর্যায়ে গত ৩০ অক্টোবর ডিবি পুলিশ উপজেলার হাসানপুর ও বিষ্ণপুরে অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে মাসুদ হাসান ও অহিদ হোসেনকে আটক করে। আটকের পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ডিবি পুলিশ তাদের কাছ থেকে জানতে পারে, আটক মাসুদ ও অহিদ খুলনার চুকনগর থেকে রাসেলের মোটরসাইকেল ভাড়া করে সাগরদাঁড়ি যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু তাদের আসল উদ্দেশ্যে ছিলো মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করা। পথে কেশবপুরের চিংড়া গ্রামের ডেপার মাঠে পৌঁছালে রাসেলকে হত্যা করে মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেয় তারা।