কৃষকের আয় বাড়াবে ক্রপ ক্যাফেটোরিয়া
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে কৃষকের আয় বাড়াতে ক্রপ ক্যাফেটোরিয়া স্থাপন করে গবেষনাণার কাজ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।
কৃষক বছরে একই জমিতে ৩টি ফসল ফলিয়ে যাতে আয় বৃদ্ধি করতে পারে সেজন্যই ক্রপ ক্যাফেটোরিয়া করা হয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। এরমধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফসলের নীবিড়তা বাড়বে। সেই সাথে কৃষক আয় বাড়িয়ে সমৃদ্ধ জীবনযাপন করবেন।
চলতি আমন মৌসুমে ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্স ইনস্টিটিউটের (ইরি) এজিজিআরআই প্রজেক্টের বিএমজিএফ এর আওতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা মাঠে আমন মৌসুমের ২১ প্রজাতির ধান নিয়ে প্রথম ক্রপ ক্যাফেটোরিয়া করে বশেমুরবিপ্রবি’র কৃষি বিভাগ। এ ক্যাফেটোরিয়ায় স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন ব্রিধান-৫১,৫২, ৭০, ৭১,৭২, ৭৩, ৭৫,৭৮,৭৯,৮০,৮৭,৯৩,৯৪,৯৫ স্বর্ণা, ইরি ৩এফ৪৪১, বিআর-১১, বিনাধান-১১,১৭.২২,২৩ রোপন করা হয়। বীজতলা থেকে শুরু করে ধান রোপন, পরিচর্যা ও পাকা পর্যন্ত বশেমুরবিপ্রবি কৃষি বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কৃষকরা গবেষণার কাজে অংশ নেন। ধানের ক্যাফেটোরিয়ায় নামে মাত্র সার, সেচ ও কীট নাশক ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে কম খরচে মাত্র ১ শ’ ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিটি জাতের ধানের বাম্পর ফলন হয়েছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা মাঠে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবস থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বশেমুরবিপ্রবির কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ক্রপ ক্যাফেটোরিয়ার তত্ত¡বধায়ক ড.জিলহাস আহমেদ জুয়েল বলেন, গোপালগঞ্জের জন্য উপযোগি ফসলের জাত খুঁজে বের করতে আমরা ২১ ধানের জাত নিয়ে প্রথম ক্রপ ক্যাফেটোরিয়া করে গবেষণা করছি। এখান থেকে ধান উৎপাদনের একটি মূল্যায়ন গ্রহন করা হয়েছে। এ মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে কৃষকদের এসব ধানের জাত চাষাবাদ সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হবে। এখান থেকেই কৃষক তার জমির জন্য উপযোগী একটি ধানের জাত খুঁজে বের করতে পারবেন। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে কৃষক লাভবান হবেন। একই জমিতে কৃষক স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন আমন ধানের পর মশুর ও পাট চাষ করে অধিক ফসল ঘরে তুলবেন। আদের জীবন মানের উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শিখে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারছেন।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্রপ ক্যাফেটোরিয়া কার্যক্রম একটি চমৎকার কার্যক্রম। এ কার্যক্রম থেকে কৃষক তার পছন্দের ফসলের জাত নিয়ে চাষাবাদ করে অধিক ফলন পেয়ে লাভবান হবেন। গোবরা মাঠে আগে শুধু পাট আবাদ হত। এখন কৃষক ধানের পর মশুর ও পাট আবাদ করে তিনগুন আয় বাড়িয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবেন।
বশেমুরবিপ্রবির কৃষি বিভাগের চেয়ারম্যান এইচ এম আনিচুজ্জামান বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখে আমরা কৃষক, গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উৎকর্ষ সাধনে কাজ করে যাব। #
এ জাতীয় আরো খবর..