মাহাতাব উদ্দিন লালন,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়াতে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিতে এসে গণধর্ষনের শিকার হয়েছে খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী এক স্কুল শিক্ষিকা । অনলাইন পত্রিকা কুষ্টিয়া নিউজ মাধ্যমে সারা দেশে গনমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে । কুষ্টিয়া শহরে অবস্থিত বড়বাজার আলআমিন হোটেলে সারা রাত ধরে চলেছে এই ন্যাক্করজনক ঘটনা । যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে । প্রথম পর্যায়ে ধর্ষকরা নানা কৌশল অবলম্বন করে ধর্ষনের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও সাংবাদিকদের তৎপরতায় অবশেষে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ই মে কুষ্টিয়া সদর‘ হাসপাতালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন জনিত অবস্থায় আনুমানিক ২৬ বছর বয়সের এক মেয়েকে জাহিদ নামে জৈনক ব্যক্তি ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস ওয়ার্ডে সকাল ৯.০০ টার সময় ভর্তি করে চলে যায় । জানা যায়, মেহেরপুর জেলার মজিবনগর আম্রকানন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন ধর্ষনের শিকার মেয়েটি। তারই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং তার সহযোগীদের দ্বারা ঘটনা হয়েছে এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা। কুষ্টিয়াতে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য ১২ তারিখে বাড়ি থেকে বের হয় মেয়েটি। পারিবারিক ভাবে পরিচিত জনদের কাছে আশ্রয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হলেও এরপর কোন আত্মীয় বাসায় না গিয়ে প্রধান শিক্ষক শরিফুল কৌশলে মেয়ে টিকে নিয়ে কুষ্টিয়ার বড়বাজার আলআমিন হোটেলে রুম ভাড়া করে সেখানে নিয়ে যায়। ঐ শিক্ষক তাকে ভাগনি পরিচয় দিয়ে হোটেলের রুম ভাড়া নেয় বলে হোটেল মালিক জানিয়েছে। রাত গভীর হলে ধর্ষকদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক মেয়েটিকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে লম্পট শরিফুলসহ তার সহযোগীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে অচেতন করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি যেন এই ধর্ষনের কথা আর কাউকে বলতে নিষেধ করে । আর যদি মুখ খোলে তাহলে মেরে ফেলা হবে বলেও জানায় মেয়েটি। শুধু তাই নয় ধর্ষকদের পক্ষথেকে তাকে হাসপাতাল থেকে অপহরনের চেষ্টায় করা হয় বলে মেয়েটির বাবা জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, মেয়েটির নগ্ন ভিডিও ধর্ষকদের কাছে আছে বলে মেয়েটি জানিয়েছে । ধর্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও মেয়েটি জানিয়েছে। গতকাল সংবাদ সংগ্রহ করতে হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, কোন এক নার্স এর যোগসাজেশে হাসপাতাল থেকে ধর্ষকরা মেয়েটিকে চিকিৎসা না দিয়ে মেহেরপুর নিজ গ্রামে পাঠিয়ে দেয় । কুষ্টিয়ার জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা ”কুষ্টিয়া নিউজ” এ সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাটি প্রশাসনসহ সকলের নজরে আসে । এরপর কুষ্টিয়া নিউজের সম্পাদকসহ পত্রিকার অন্য সাংবাদিকদের প্রচেষ্টায় সংবাদ প্রচার হওয়ায় আসল সত্যটি বেরিয়ে আসে । মেহেরপুরের মুজিবনগরের মেয়েটির নিজ গ্রামের মানুষের সহায়তায় অসুস্থ অবস্থায় আবারো তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং শেষ খবর পওয়া পর্যন্ত কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।