কুমিল্লার চান্দিনা থানার এক পুলিশ কর্মকার্তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সুলতান।
আজ ২৭ অক্টোবর, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চান্দিনা থানার সামনে শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা ওই মানববন্ধনটি করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই পুলিশ কর্মকর্তা এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও কাঙ্ক্ষিত টাকা দিতে না পারায় ভিকটিমের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ সময় অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে দ্রুত অপসরণসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।
জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই চান্দিনার তুলাতলী গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় মারাত্মক আহত হন নূরুল আমিন সোহাগ, তার পিতা রুহুল আমিন ও ছোটভাই নাঈম। ঘটনার পর সোহাগের স্ত্রী রোজিনা আক্তার থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় প্রতিপক্ষ থানায় কাউন্টার মামলা করতে গেলে থানার ওসিসহ তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় মামলা গ্রহণ করেননি।
পরে প্রতিপক্ষ আদালতে গিয়ে পৃথক ২টি মামলা করেন। ওই ২টি মামলা চান্দিনা থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় আদালত । এর মধ্যে একটি মামলায় সঠিক তদন্ত রিপোর্ট দিতে ভিকটিম সোহাগের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সুলতান। সোহাগ টাকা না দেয়ায় প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে ভিকটিমের বিরুদ্ধেই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সুলতান বলেন, ‘উভয় পক্ষের মারামারিতে সোহাগ মারাত্মক আহত হন সেটা বাস্তব। তবে প্রতিপক্ষের লোকজনও এতে আহত হয়েছে। রিপোর্টটি তাদের পক্ষে যায়নি বলেই আমার বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করেছেন।’
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ‘এসআই সুলতানের বিরুদ্ধে ভিকটিম সোহাগের অভিযোগটি জেনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এনইউএস