কি ঘটতে যাচ্ছে মেহেরপুরের পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যানের ভাগ্যে | দৈনিক মাথাভাঙ্গা

কি ঘটতে যাচ্ছে মেহেরপুরের পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যানের ভাগ্যে | দৈনিক মাথাভাঙ্গা

মাজেদুল হক মানিক: দলীয় প্রধানের সাধারণ ক্ষমার পরেও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে জায়গা পাননি কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। তাই এসব চেয়ারম্যানদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোয়াশার। আওমামী লীগের সংগ্রাম ঐতিহ্যে নেতৃত্ব দেয়া এসকল মানুষগুলো দলে ফিরতে পারবে না কি সারাজীবন দলের বাইরেই থাকতে হবে? এ নিয়ে নানা প্রশ্ন জনমনে। স্থানীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা এসব চেয়ারম্যানদের দলে পদপদবি পাওয়া বিরুপ প্রভাব পড়বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন অনেকে।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নে আয়ুব হোসেন, মহাজনপুর ইউনিয়নে আমাম হোসেন মিলু, গাংনীর মটমুড়া ইউনিয়নে সোহেল আহম্মেদ, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে নাজমুল হুদা, কাথুলী ইউনিয়নে মিজানুর রহমান রানা, ষোলটাকা ইউনিয়নে আনোয়ার পাশা ও মুজিবনগরের মোনাখালী ইউনিয়নে মফিজুর রহমানসহ আরও কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী দলীয় প্রতীক নৌকা চাইলেও শেষ পর্যন্ত ভাগ্য ছিলো না তাদের সাথে। ফলে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন তারা। নৌকা প্রতীক দেয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের চাওয়া পাওয়া পূরণ হয়নি। এ দাবি যথার্থভাবে প্রমাণ হয় বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের শোচনীয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করলে দল থেকে আপনা আপনি বহিস্কার হবে, যার ফলে আয়ুব হোসেন, আমাম হোসেন মিলু, সোহেল আহম্মেদ, মিজানুর রহমান রানা, নাজমুল হুদা ও আনোয়ার পাাশাসহ আরও কয়েকজন হারিয়েছিলেন দলীয় পদ। তবে সেই বহিস্কারাদেশ বেশিদিন টানতে হয়নি এসব চেয়ারম্যানদের। নির্বাচনের কিছুদিন পর দলীয় প্রধানের সাধারণ ক্ষমার আওতায় সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেন এসব চেয়ারম্যানরা। যার প্রেক্ষিতে গেলো জানুয়ারি মাসে তারা সাধারণ ক্ষমার আওতাভুক্ত হয়ে আবারও দল করার সুযোগ পান। এর মাঝে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি গঠন হয়। ক্ষমা পাওয়া চেয়ারম্যানদের কয়েকজন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে জায়গা পাচ্ছেন বলে আলোচনা শুরু হয়। তবে ঝুলে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি এবং সাম্প্রতিক সময়ে অনুমোদন হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে তাদের কারও নাম পাওয়া যায়নি।

স্বতন্ত্র নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে চেয়ারম্যানরা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের বিপক্ষে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো। এতে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদেরকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করেছে। এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে রাখতেই তারা স্থানীয় এ নির্বাচনে দলের বাইরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

দলের কমিটিতে জায়গা না পাওয়া প্রসঙ্গে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু বলেন, আমার ইউনিয়ন ছিল জামায়াত-বিএপি অধ্যুষিত। ২০০৩ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের শক্তিশালী প্রার্থীকে হারিয়ে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। বন্দুক, গুলি আর হামলার মুখে আমি অবিচল থেকে এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছি।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলের জন্যই সব দিয়ে যাবো উল্লেখ করে আমাম হোসেন মিলু আরও বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। যারা আমার সাথে নৌকা নিয়ে ভোট করেছেন তারা পেয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ভোট। কারণ তাদের সাথে আমাদের নেতাকর্মীদের সম্পর্ক সবসময় খারাপ ছিল। তারা আমাকে কখনও হারাতে পারেনি। তাই হারানোর সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য তারা নৌকার পক্ষে ছিলো।

এ প্রসঙ্গে, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা বলেন, একজন ব্যক্তি বলে থাকেন যে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা তার বাবা। আসলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রতিষ্ঠাকালীন যে কমিটি গঠন হয়েছিল তার মধ্যে আমার বাবা প্রয়াত নুরুল হুদা বিশ^াস ছিলেন। আমার বাবা ছিলেন প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির ২৭ নম্বর সদস্য। বাবার হাত ধরেই ছাত্রলীগ থেকে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। পর্যায়ক্রমে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের পদে ছিলাম। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মতামতের প্রধান্য না দিয়ে মনোনয়ন দেয়ায় আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে বাধ্য হই। দলের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। আমাদেরকে কেন দলের পদ পদবী দেয়া হবে না তার সদুত্তোর কারও কাছ থেকে পাইনি।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স, মুজিবনগর উপজেলা প্রতিষ্ঠাসহ মুজিবনগরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনের। দলে জায়গা না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি  শেখ হাসিনা ক্ষমা করে দেয়া মানেই দলে নেয়া। কিন্তু কোন অদৃশ্য ইশারায় আমাদের নাম জেলা কমিটিতে দেয়া হয়নি বা বাদ দেয়া হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। তবে বিষয়টি যদি প্রধানমন্ত্রীর গোচরে পড়ে তাহলে এসকল চেয়ারম্যানরা দলে জায়গা পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

একই অভিযোগ করে মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ জানান, বিএনপি, জামায়াত ও ফ্রিডম পার্টির নেতার ভাইকে আমার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়েছিলো। এতে প্রকৃত যারা আওয়ামী লীগ তারা মেনে নিতে পারেননি। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাঁচানোর জন্য স্বতন্ত্র নির্বাচনে অংশ নিই। নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে নির্বাচনে অংশ নিই। এ নির্বাচনে দীর্ঘ ২৫ বছর পর বিএনপির চেয়ারম্যানকে পরাজিত করে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।

দলে জায়গা না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লড়াই সংগ্রামে এই পাঁচ চেয়ারম্যান ছিলেন ও আছেন। কিন্তু কি কারণে আমরা দলে জায়গা পেলাম না তার সদুত্তর পাচ্ছি না। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের তো বলেননি যে আমাদের জায়গা দেয়া যাবে না। তাহলে কোন নেতার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আমাদের বাদ দেয়া হয়েছে না দলের সিদ্ধান্ত তা বুঝতে পারছি না।

তবে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চেয়ারম্যানদের দলে জায়গা না পাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। তিনি বলেন, আমরা জেলা কমিটির নামের তালিকার মধ্যে তাদের নাম যুক্ত করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম সাফ জানান যে, তাদেরকে দলের পদ পদবী দেয়া হবে না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দলের পক্ষে তাদের অবস্থান বিবেচনা করে তারপরে পদ পদবীর কথা ভাবা যাবে।

জানা গেছে, স্থানীয় রাজনীতিতে এসব চেয়ারম্যানদের অবস্থান বেশ শক্ত। তাদের রয়েছে সাংগঠনিক মজবুত ভিত্তি আর সক্রিয় কর্মীবাহিনী। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন তারা। তাদের দলীয় পদ পদবী না পাওয়া, আগামী দিনের রাজনীতিতে কি প্রভাব পড়বে তা নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা।

পাঁচ চেয়ারম্যানের সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবন :

আমাম হোসেন মিলু: আমাম হোসেন মিলু ১৯৮০ সালে দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগের সদস্য হন। মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য থেকে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সদস্য এবং পরবর্তীতে মহাজনপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। এরপর সদর থানা আ.লীগের এক নম্বর যুগ্ম সম্পাদক থেকে জেলা আ.লীগের সদস্য পদ পান ১৯৯৭  সালে গঠিত (সাবেক এমপি মকবুল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মান্নান মাস্টার) কমিটিতে। এরপরে জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০১৫ সালে মুজিবনগর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে ৬১ ভোটে জামাত বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এবং ২০১৬ সালে নৌকা নিয়ে বিজয়ী হন তিনি। পরবর্তীতে ২০২১ সালে বিদ্রোহী হিসেবে বিজয়ী হন। ২৫ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগে ছিলেন তিনি।

আয়ুব হোসেন: আয়ুব হোসেন ১৯৭৮ সালে দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। মেহেরপুর সরকারি কলেজের জিএস নির্বাচিত হন ১৯৮১ সালে। পরে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। পরে জেলা আওমামী লীগের বন ও পরিবেশক বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০১১ সালে প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে জেলা আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে নৌকা পেয়ে বিজয়ী এবং ২০২১ সালে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সোহেল আহম্মেদ: মটমুড়া ইউনিয়নের মহাম্মদপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সোহেল আহম্মেদ। আনোয়ারুল ইসলাম ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি ও কয়েকবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং জেলা আ.লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য পরিবার থেকে ছাত্রলীগ, পরে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদে ছিলেন সোহেল আহম্মেদ। ২০১৬ ও ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন তিনি।

নাজমুল হুদা: নাজমুল হুদার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদা বিশ^াস। জেলা আ.লীগের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য এবং তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ছয়বার। পারিবারিকভাবে দলের সাথেক সম্পৃক্ত হন নাজমুল হুদা। পরবর্তীতে ছাত্রলীগ এবং মেহেরপুর জেলা যুবলীগের এক নম্বর সহ-সভাপতি, উপজেলা আ.লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও এবং জেলা আ.লীগের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে প্রথমবার তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন। ২০২১ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন।

মিজানুর রহমান রানা: মিজানুর রহমান রানা ১৯৯২ সরকারি মেহেরপুর সররকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হন। এরপরে ২০১৫ সালে গঠিত মেহেরপুর জেলা আওয়ামী  লীগের কমিটিতে ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হন তিনি। ২০১৫ সালে কাথুলী ইউপি উপ-নির্বাচনে প্রথম জয়লাভ করেন তিনি। ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন তিনি পরের নির্বাচন অর্থাৎ ২০২১ সালে নৌকা বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন তিনি।

Explore More Districts