হিন্দু বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা ইদ্রিস মিয়া, ফারুক মিয়াসহ জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি ভুক্তভোগীরা যাতে দ্রুত নিজ বাড়িতে ফিরতে পারেন, সেই দাবিও জানান তাঁরা। এ সময় ভুক্তভোগী গীতা রানী বর্মনের ভাই প্রদীপ বর্মন বলেন, ঘটনা দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকচুরী গ্রামে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়ার নেতৃত্বে গীতা রানী বর্মনের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ভুক্তভোগী গীতা রানীর পরিবার। এখনো তারা বিএনপি নেতা–কর্মীদের ভয়ে বাড়িছাড়া।
এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন গীতা রানী বর্মন। মামলায় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা ইদ্রিস মিয়াসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি আরও ৫০ জন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন গীতা রানী। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে গীতা রানী ভৌমিকের পরিবার।