কালীঘাটস্থ শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্ত্তন ও শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের অষ্টকালীন লীলাকীর্ত্তন মহোৎসব আজ সোমবার ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। ১২ দিনব্যাপী এই আয়োজনে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠসহ ১৬ প্রহরব্যাপী নাম ও লীলা কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠান সূচীর মধ্যে রয়েছে ২৮ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংগীতময় ভাগবত কথা কীর্তন। পাঠ করবেন ছাতক শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়ার প্রভুপাদ শ্রীল হিমাদ্রী গোস্বামী (মহর)। ২ থেকে ৪ ডিসেম্বর সংগীতময় ভাগবত কথা কীর্তন পরিচালনা করবেন ভাগবতরতœ,শ্রীপাঠ বেতুলীয়া ঢাকা মানিকগঞ্জের প্রভুপাদ গোপীনাথ গোস্বামী।
৫ ডিসেম্বর ১৬ প্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্ত্তন মহোৎসবের শুভ অধিবাস। পরিচালনা করবেন শ্রীমতি শ্যামলী দাসী ভান্ডারী, শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়া, দেউলগ্রাম, চারখাই, বিয়ানীবাজার। শ্রীযুক্ত স্বরূপ দাস মোহন্ত, শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়া, দেউলগ্রাম, চারখাই, বিয়ানীবাজার। অধিবাস কীর্তন ও পূর্ণা পরিবেশনায়- বিদ্যুৎ কান্তি দাস (পুলিশ) কুলাউড়া ।
০৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্ম মুহূর্ত হতে তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্ত্তন।
৮ ডিসেম্বর থেকে শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্ত্তন মহাযজ্ঞের সমাপনান্তে শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের অষ্টকালীন লীলা কীর্ত্তন। ০৯ ডিসেম্বর ভোর ৬ ঘটিকায় লীলাকীর্ত্তন সমাপন হরিলুটসহ শ্রীনাম কীর্ত্তনসহ নগর পরিক্রমা ও দধিভাÐ ভঞ্জন, কুঞ্জনভঙ্গ ও জলকেলী
মহোৎসবে অষ্টকালীন লীলা কীর্ত্তন পরিবেশন করবেন কৌশিক ব্যানার্জী (কোলকাতা),সৌমশ্রী রায় (কোলকাতা) ও শ্রী চৈতন্য দাস উত্তম (যশোর)।
শ্রীনাম সুধা কীর্ত্তন পরিবেশন করবে রাম কৃষ্ণ সম্প্রদায় ভোলা,বিসখা অষ্টসখী,বাঘেরহাট,জয়রাম সম্প্রদায় চট্টগ্রাাম,দেবী পার্বতী সম্প্রদায় খুলনা,জয় মহাপ্রভু সম্প্রদায় কক্সবাজার,ভক্ত জয়দেব সম্প্রদায় গোপালগঞ্জ। মহোৎসবে প্রতিদিন দুপুর ১.০০ ঘটিকা থেকে ভোগরাগ অন্তে মহাপ্রসাদ বিতরণ।
কালীঘাটস্থ জগন্নাথ জিউর মন্দিরের সর্বজনীন শ্রীশ্রী হরিনাম সংকীর্তন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মদন মোহন কর্মকার জানান, গেল দুই বৎসর করোনা প্রকোপ,সরকারি বিধি-নিষেধ এবং মন্দির সংস্কার কার্যক্রমের জন্য যথারীতি মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয় নি। নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় এবার সহৃদয় ভক্তগণসহ সকলের অংশগ্রহণে এই মহোৎসবে প্রাণের সঞ্চার ঘটবে। তিনি জগৎ সংসার মায়ার পাশ কাটিয়ে গৌরসুন্দরের নববৃন্দাবন শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দিরকে ভক্তপদরজ পুততীর্থে পরিণত করে দর্শন, শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, ধনীহরিনাম সংকীর্তন ও অষ্টকালীন লীলাকীর্তন শ্রবণ ও প্রতিদিন ভোগরাগ অন্তে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন