কালীগঞ্জে জমিসহ ঘর পেয়ে খুশি প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান

কালীগঞ্জে জমিসহ ঘর পেয়ে খুশি প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান

কালীগঞ্জে জমিসহ ঘর পেয়ে খুশি প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নির্মিত তৃতীয় পর্যায়ের ২২৫টি ঘরজমিসহ আধা-পাকা ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারগুলো।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া পরিবারগুলো জানান, তারা কোনদিন ভাবেননি মাথা গোঁজার মতো নিজেদের একটি ঠিকানা হবে। এখন অসহায় পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাকা ঘরে থাকে, আর তাদের কোনো কষ্ট নেই। আগে খুব কষ্টে ছিলেন। বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে খুব কষ্ট করেছেন। এখন খুব আরামে থাকেন। ঘর পেয়ে তারা খুব খুশি।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পাওয়া প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান। তার দুটি হাত নেই। স্ত্রী ও চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকতেন অন্যের জমিতে, ঝুপড়ি ঘর উঠিয়ে। ঘর বরাদ্দ পেয়ে চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক দেখা যায়।

জানতে চাইলে আব্দুর রহমানের স্ত্রী দুই হাত উঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করে বলেন, চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছি ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে। টাকাপয়সার অভাবে ঘর করতে পারিনি। বর্ষা ও শীতে অনেক কষ্ট করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে থাকছি আর কষ্ট হবে না।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুব খুশি ভিক্ষুক মহিমা। অভাবের সংসার। পাঁচ সন্তানের জননী মহিমা ভিক্ষা করে সংসার চালান। কোনো জায়গা জমি নেই। আগে অন্যের বাড়িতে থাকতেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুব খুশি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মান্নান অক্লান্ত পরিশ্রম করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘরগুলো নির্মাণ করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আহমেদ জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে চার শত ও তৃতীয় ধাপে ২২৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হয়েছে আধা-পাকা টিনের ঘর।

প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতাংশ খাস জমি দিয়ে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় ধাপে মোট ২২৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত ঘরগুলো বাথরুম, গোসলখানা, বারান্দাসহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা-পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, তৃতীয় ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২২৫টি ঘর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। নির্মিত ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন আমরা উপকারভোগীদের জমির কবুলত রেজিস্ট্রেশনসহ হস্তান্তর করব।

এসআর

Explore More Districts