কালিয়াকৈরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজের অনিয়মের অভিযোগ – Daily Gazipur Online

কালিয়াকৈরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজের অনিয়মের অভিযোগ – Daily Gazipur Online

কালিয়াকৈর( গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লেইং এক্সেসারিজ কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও শিক্ষকদের সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্লেইং এক্সেসারিজ কাজ হয়েছে । সাকাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভান্নারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মজিদ চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরিয়াবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,লস্কর চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই সাতটি স্কুলে স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের সভাপতির কাজ করার কথা থাকলেও লস্কর চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া বাকি ছয়টি স্কুলের কাজ করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোঃ আরিফ হোসেন কাজ করেন। প্লেইং একসেসারিজ কাজের মধ্যে রিং,দোলনা, ঢেকিকল ,স্লিপার, হাঁটাহাঁটি ব্যালেস এই কাজের মূল্য হিসাবে প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজের মূল্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। কিন্তু এই কাজের সঠিক কাজ না করে দুর্নীতি অনিয়ম করে নিম্নমানের কাজ করেন। যার ফলে কাজ শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন প্লেইং এক্সসেসারিজ খেলা ধূলার উপকরণ অকেজো হয়ে পড়ছে। নিম্ন মানের কাজ হওয়ার ছাত্র-ছাত্রীরা খেলা ধুলা করতে পারছে না। খেলা ধূলার যন্ত্রাংশ নিয়ে খেলা করছে শিক্ষার্থীরা এতে জীবনের ঝুকি রয়েছে বলে জানান ছাত্রছাত্রীরা । এর ফলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা এই কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে।
স্বাকাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র জোবায়ের হোসেন ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র নিষ্পঞ্জয় জানান , আমাদের খেলাধুলার রিং ভেঙ্গে গেছে। ঠিকমতো আমরা খেলতে পারছি না। স্লিপার খারাপ থাকায় সেখানেও আমরা খেলতে পারছি না। সমাধান হলে তাড়াতাড়ি খেলতে পারবো।
মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশনারা খাতুন জানান, প্লেইং এক্সেসারিজ কাজের জন্য উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেনকে কাজের আগেই সমস্ত টাকা বুঝিয়ে দিয়েছি। কাজের মান যে এত খারাপ হবে তা জানা ছিল না। শিক্ষার্থীরা খেলা ধূলা করতে গিয়ে দুইজন আহত হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোঃ আরিফ হোসেন জানান, বিভিন্ন মালামালের দাম বেড়ে গেছে ও অফিস ম্যানেজ করতে হয়। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহেদা আখতার মুঠো ফোনে বার বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, স্কুলের কাজের বিষয়টি দেখে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Explore More Districts